“আমি জন্মেছি বাংলায়
আমি বাংলায় কথা বলি।
আমি বাংলার সকল পথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
চলি পলি মাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে?
আমার পরিচয়, সৈয়দ শামসুল হক।”
সৈয়দ শামসুল হকের বয়স যখন মাত্র এগার বছর তখন তিনি টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানালার ধারে তার কক্ষ থেকে বাহিরে তাকিয়ে নানা দৃশ্য দেখছিলেন। হঠাৎ দেখতে পেলেন রান্না ঘরের পাশে সজনে গাছের ডালে একটি সুন্দর টুকটুকে লাল পাখি। এই দৃশ্য তাকে মোহিত করে। বেশ সুন্দরভাবে জীবনের প্রথম কবিতার লাইন দুইটি তিনি জ্বরে থাকা অবস্থায় লিখলেন-
”আমার ঘরে জানালার পাশে গাছ রহিয়াছে
তাহার উপর দুটি লাল পাখি বসিয়া আছে।”
কবিতার এই দুটি লাইন দিয়ে তার সাহিত্যকর্মের যাত্রা শুরু হয়। সেই যে লেখালেখি শুরু করেছেন, তা বলতে গেলে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার অবিরাম কলম চলতে থাকে।
সৈয়দ শামসুল হক রংপুর কুড়িগ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে কুড়িগ্রাম একটি আলাদা জেলা। ১৯৩৫ সালে ২৭শে ডিসেম্বর এই কবির জন্ম। তাঁর পিতা ছিলেন সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন। মা ছিলেন হালিমা খাতুন। মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। সৈয়দ শামসুল হকের পিতা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ছিলেন। সৈয়দ হকের ভাই বোন মিলে ছিলেন আট জন। তিনি অষ্টম ভাই বোনের মধ্যে সকলের বড় ছিলেন। তাঁর স্কুল জীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুল থেকে। পরবর্তী তিনি কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে সানডে লেটার মার্কসহ তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। তখন এসএসসিকে ম্যাট্রিক বলা হতো। ১৯৫০ সালে মেট্রিক পাসের পর তিনি লেখালেখিতে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রচুর কবিতা লেখা শুরু করলেন। ম্যাট্রিক
পাসের পর বাসায় বসে বসে নিজের খাতায় তিনি দুইশতটি কবিতা লিখে ফেলেন। বাবা যেহেতু হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ছিল, তাই ছেলেকে ডাক্তারী পড়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তু সৈয়দ হকের মাথায় ছোট বেলা থেকে সাহিত্য ঘুরপাক খাচ্ছিল। সাহিত্য চর্চায় তার নেশা শিশুকাল থেকে। তাই ডাক্তারী পড়ার কোন আগ্রহ তার ছিল না। ১৯৫১ সালে তিনি পিতার ইচ্ছার প্রতি সম্মান না দেখিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে ভারতের বোম্বেতে চলে যান। সেখানে গিয়ে এক সিনেমা প্রোডাকশন হাউজে সহকারী হিসেবে চাকরি করেন। অবশ্য এক বছর পর ১৯৫২ সালে দেশে ফিরে ঢাকায় এসে জগন্নাথ কলেজে মানবিক শাখায় এইচএসসি ক্লাশে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগে ভর্তি হন। স্কুল জীবন থেকে সৈয়দ হক খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। কিন্তু লেখাপড়ার প্রতি তেমন মনোযোগ ছিল না। সাহিত্য চর্চা, বই পড়া, কবিতা লেখা তাঁর নেশায় পরিণত হয়। তাই পাঠ্যপুস্তকের প্রতি তার আগ্রহ হারিয়ে যায়। কলেজ জীবন থেকে লেখালেখিতে দক্ষ হয়ে উঠেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র থাকাকালীন তিনি একজন লেখক হিসাবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৫৬ সালের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া না করে পুরোদমে লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
১৯৯৬ সালে সৈয়দ শামসুল হক বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পান। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৯ বছর। এত অল্প বয়সে বাংলা একাডমীর পুরস্কার পাওয়ার কোন রেকর্ড নাই। বাংলা একাডেমীর পুরস্কার একটি বিরল সম্মান। পঞ্চাশ দশক থেকে সৈয়দ হক বিচিত্র রচনায় তার সাহিত্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় শতাধিক।বিংশ শতাব্দীর শেষে সৈয়দ শামসুল হক একজন শক্তিমান লেখক ছিলেন। তার সময়ে লেখালেখিতে ছিলেন তার স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি আল মাহমুদ, কবি শামসুর রহমান, হুমায়ুন আজাদ প্রমুখ। এদের পূর্বে একই ধারার লেখক ছিলেন সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, সৈয়দ মুজতবা আলী। সকলকে ছাড়িয়ে তিনি উঠে আসেন কবিতা, গল্প, নাটক, সিনেমা, গান, প্রবন্ধ, উপন্যাস ছড়া প্রভৃতিতে দক্ষতার নিপুণ কারিগর। সব বিষয় লেখালেখিতে থাকলে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা ও পারদর্শিতা পরিচয় মিলে কোন কোন লেখকের। কিন্তু সৈযদ শামসুল হক সকল শাখায় দক্ষতার সঙ্গে তার আভিজাত্য বজায় রাখেন। আর এই ধরনের সকল শাখার সফল ব্যক্তি হন সর্বসাচী লেখক। তিনি বাংলা সাহিত্যের সকল শাখায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই তাকে তার সময় ‘সব্যসাচী’ লেখক হিসেবে সকলে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি ছিলেন আধুনিক, গতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার সাহিত্যকর্মে এই সবের সুন্দর প্রমাণ মিলে। আমার পরিচয় কবিতা তিনি লিখেন,
“এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তোমার সন্তান?
যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;
তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-
চোখে-নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।”
সৈয়দ শামসুল হকের পিতা মারা যাওয়ার পর বড় সংসারের আর্থিক দৈন্যতা দেখা দেয়। পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে দায়িত্ব পড়ে তার উপর। তাই উপার্জনের জন্য তিনি চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ‘মাটির পাহাড়’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন। পরবর্তীতে ‘তোমার আমার’ ‘শীল বিকেল’, ‘কাঁচ-কাটা হীরে’, ‘বড় ভাল লোক ছিল’ ‘ক, খ, গ, ঘ ঙ পুরস্কারসহ বহু চিত্রনাট্য কাহিনী ও সংলাপ লিখেন। ‘বড় ভাল লোক ছিল’ ‘পুরস্কার’ এই দুইটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
বিবিসি সংবাদ পাঠক হিসাবে চাকরি নিয়ে তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পূর্বে লন্ডন চলে যান। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর বিবিসি পাঠক হিসাবে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনের সংবাদ পরিবেশন করে নিজকে ধন্য মনে করেন। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিবিসি বাংলার প্রযোজক হিসেবে চাকরিতে রত ছিলেন। তাঁর দৃঢ়কণ্ঠ ও সাবলীল উচ্চারণের জন্য তিনি শ্রোতাদের খুবই প্রিয় ছিলেন। বিবিসি কাজ করার সময় তিনি নাট্যকার হিসাবে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ ‘নুরুদ্দীনের সারা জীবন’ এই দুইটি নাটক বিবিসি প্রচারের পর তার সুনাম বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ঐ দুটি নাটক তখন সবচেয়ে বেশি দর্শক ও পাঠক নন্দিত ছিল। এই নাটক দুইটিপ্রচারের পর সৈয়দ শামসুল হকেরনাট্যকার জীবনে বিরাট পরিবর্তন এসে পড়ে। এছাড়াও তিনি ‘নারীগণ, ‘যুদ্ধ এবং যোদ্ধা’, ‘ঈর্ষা’ ‘এখানে এখন’ প্রভৃতি নাটক বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তাই তার নিকট সাহিত্য চর্চা একটা নেশা হয়ে পড়ে। সেই নেশার টানে সাহিত্যের সকল শাখায় সফলতার চিহ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
সৈয়দ শামসুল হকের কবিতায় আমরা পেয়েছি গভীর অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি খুবই আশাবাদী, দৃঢ় চেতা, উদ্যমী, কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তি ছিলেন। তার সময় যারা ভাল ছাত্র তারা লেখাপড়া শেষে ভাল সরকারি চাকরি করেছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কিন্তু তিনি লেখাপড়ার শেষ না করেই লেখক হওয়ার মানসিকতা রেখে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। সেইখানেই সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, তিনি কতটা আশাবাদী ব্যক্তি ছিলেন। সেই পরিচয় পাওয়া যায় তার কবিতায়, তার কাব্য গ্রন্থে।
“তোমাকে অভিবাদন বাংলাদেশ,
তুমি ফিরে এসেছ তোমার মানচিত্রের ভেতরে
যার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তেরো শো নদীর ধারা,
তোমাকে অভিবাদন,বাংলাদেশ।”
উপন্যাস জগতে সৈয়দ শামসুল হক বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অনেক উপন্যাস তিনি লিখেছেন। দীর্ঘ ৮০ বছরের জীবনে লেখার বেশ সময় পেয়েছেন। তবে রবীন্দ্রনাথ, শরৎ চন্দ্র, কিংবা হুমায়ুন আহমদ এর মত উপন্যাসে ঐরূপ আলোড়ন সৃষ্টি হয়নি। সমাজ তাদের মত নাড়া দিতে পারেন নাই। তবে লিখেছেন অনেক উপন্যাস। বিভিন্ন মিডিয়ায় তার লেখা প্রায় ৩৯টি উপন্যাসের নাম দেখা যায়। তিনি প্রথম উপন্যাস লিখেন ১৯৫৯ সালে ‘এক মায়ের ছবি’। এরপরে একে একে অনেক উপন্যাস লিখেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : এক মায়ের ছবি (১৯৫৯), অনুপম দিন (১৯৬২), সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪), নলি দংশন (১৯৮১), এক যুবকের ছায়া পাত (১৯৮৭), বড় দিনের শিল্প (১৯৮৯), নির্বাসিতা (১৯৯০), না যেয়ো না, অচেনা, আলোর জন্য প্রভৃতি। ছোট গল্প ও তিনি লিখেন প্রচুর। ছোট গল্প হচ্ছে : তাশ (১৯৫৪), রক্ত গোলাপ (১৯৬৪), আনন্দের মৃত্যু (১৯৬৭)। অনুবাদ সাহিত্যে তিনি বেশ তৎপর ছিলেন। ইংরেজী দক্ষতার জন্য তার অনুবাদের মান ও উন্নত ছিল।
অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : Shakespeare’s Macbeth, Shakespeare’s the tempest, Shakespeare’s Troilus and cressida এবং Ibsens pur Gyst ইত্যাদি।
সৈয়দ শামসুল হক একজন দক্ষ কলাম লেখক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লিখতেন। সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ‘মার্জিনে মন্তব্য নামে নিয়মিত একটি কলাম তিনি লিখতেন। এছাড়া বিচিত্রায় গল্পের কলকব্জা’ শিরোনামেও তিনি কলাম লিখতেন। এই সকল কলাম লেখা গুলো নিয়ে ২০১৪ সালে তার ‘হৃৎকলমের টানে’ গ্রন্থটি নান্দকি প্রকাশনী প্রকাশ করেছে।
শিশু কিশোরদের জন্য সৈয়দ শামসুল হক লিখেছেন। শিশু কিশোরদের উপযোগী ‘সীমান্তের সিংহাসন’ অনু বড় হয, হড়সনের বন্দুক প্রভৃতি বেশ সুপাঠ্য।
তিনি গান লিখেছেন। তবে খুব বেশি নয়। তবে যে কয়টি লিখেছেন তা বেশ জনপ্রিয়। ‘বড় ভাল লোক ছিল’ সিনেমায় এন্ডু কিশোরের কণ্ঠে ‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’ গানটি বাংলাদেশের গান প্রিয় মানুষের বেশ মিষ্টি গান। তাছাড়া ‘আশীর্বাদ’ সিনেমায় ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা’ গানটি সেরা দশটি রোমান্টিক গানের মধ্যে একটি গান। ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ সিনেমার ‘যার ছায়া পড়েছে কিংবা ‘এমন মজা হয় না, গায়ে সোনার গয়না’ গানগুলো তিনি রচনা করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তিনি।
সৈয়দ শামসুল হক কবিতা, উপন্যাস, গল্প, সিনেমা শিল্পে তথা বাংলা সাহিত্যের সকল অঙ্গনে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়ে বহু পুরস্কারও সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। অতি অল্প বয়সে বাংলা একাডেমীর পুরস্কার লাভ করে সকলকে তখন চমকিয়ে দিয়েছিলেন। প্রাপ্ত পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৯), আলাউল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), একুশে পদক (১৯৮৪), নাছির উদ্দিন স্বর্ণ পদক (১৯৯০), জাতীয় কবিতা পদক (১৯৯৭), স্বাধীনতা পদক (২০০০) এবং জাতীয় কবিতা সম্মাননা (২০০১) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সময় ও কালের আবর্তে বিভিন্ন আদর্শকে অনুসরণ করতে হয়েছে। ব্রিটিশ শাসন আমল, পাকিস্তান শাসনকাল ও মুক্তিযুদ্ধ তিনটি কালের সাক্ষী সৈয়দ শামসুল হক। তার সাহিত্যকর্মে তাই তিনটি সময়, যুগের, আদর্শের ও সংস্কৃতির প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়। সেকুলার আদর্শে বিশ্বাসী এই লেখক, কবি, উপন্যাসিক তার কর্মময় জীবনে লেখনিতে তার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন।
আবুল কাসেম হায়দার
সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।
লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।