কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ সৈয়দ আলী আহসান আমাদের সকলের খুবই প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। এরপর তার জনম দিনে বাসভবনে কবি আবদুল হাই শিকদারসহ অনেকের সাথে উপস্থিত থাকার আমার সৌভাগ্য হয়েছিল। সালটা- আমার মনে তখন পড়ছে না। একটা ছবি তার সঙ্গে অনেকের সাথে আমার রয়েছে। তখন তিনি চেয়ারে বসে চলাফেরা করতেন, হাঁটতে পারতেন না। কিন্তু কথা বলার শক্তি ছিল। বেশ ভাল ভাবে আমাদের সামনে তার জন্মদিনে বেশ বললেন। তার বাসাটি কলাবাগান। হয়তো এখন ঠিকানা সংগ্রহ করে পেতে হবে। ভুলে গিয়েছি। শুধুমাত্র তার জীবিত থাকাকালীন ঐ একবারই যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল।
অবিভক্ত ভারতে ১৯২২ সালে ২৬শে মার্চ তৎকালীন যশোরের আলোকদিয়া গ্রামে এক সুফি পরিবারে সৈয়দ আলী আহসান এর জন্ম। তার পূর্ব পুরুষ হযরত শাহ আলী বোগদাদী দিল্লীতে সৈয়দ আলাউদ্দিন আযম শাহের শাসনামলে বাগদাদ থেকে আগমন করেন।
কবি, সাহিত্যিক, শিল্প তত্ত¡জ্ঞ হিসেবে তিনি দেশেও বিদেশে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। ছোট এবং বড় মিলিয়ে তিনি লেখা ও সম্পাদনা মিলিয়ে প্রায় একশেরও অধিক গ্রন্থ রচনা করেন। কবিতার জন্য তিনি ১৯৬৭ বাংলা একাডেমী পুরষ্কারে ভূষিত হন। ঢাকা বিম্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স ও এমএ ডিগ্রী লাভের সত্তে¡ও তিনি বাংলা সাহিত্য রচনায় অনেক সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তার কবিতা তখন এপার বাংলা, অপার বাংলায় সমানভাবে সমাদৃত ছিল। তার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: আমাদের ঐতিহ্য (১৯৪৮) ইকবালের কবিতা (১৯৪৮), কবিতার কথা (১৯৫২), জার্মান সাহিত্য (১৯৭৬) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, নির্বাচিত কবিতা (১৯৯৬), শ্রোতাবাহী নদী (১৯৮৯), মহানবী (সাঃ) (১৯৯৪) প্রভৃতি।
বাংলাভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে সৈয়দ আলী আহসান একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। বাংলা সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রে তার আশ্চর্য আধিগম্যতা ছিল। শিল্পকলা সম্পর্কে তার পরিণত বুদ্ধি এবং বিচার বিশ্লেষণ সকলকে মুগ্ধ করেছে। মানবতাবোধের সকল অঙ্গনে তিনি স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সৈয়দ আলী আহসানের কবিতা লেখা শুরু হয় স্কুল জীবন থেকে। যখন তিনি স্কুলের ছাত্র তখন ইংরেজীতে আরমানিটোলা হাইস্কুলের ম্যাগাজিনের জন্য একটি কবিতা লিখেন। কবিতাটি ‘জিরো’ নামে ইংরেজীতে লিখেন।
কবি তার কবিতা সম্পর্কে বলেন, “কবিতাটি এমন কিছু মূল্যবান নয়, কিন্তু আমার প্রথম মুদ্রিত কবিতা হিসেবে আমার কাছে কবিতাটির একটি মর্যাদা আছে। কবিতাটি মতিউল ইসলাম পাঠ করে বাংলাতে অনুবাদ করে ‘চাবুকে’ ছাপিয়েছিলেন কবিতাটির কয়েকটি চরণÑ
“সেখানে ফুটিয়াছিল গোলাপের ফুল
হাতে নিয়া বললাম, অতি সুকুমার।
বিপুল রহস্য রসে হইয়া আকুল,
মনে মনে বলিলাম, ইহাতো আমার।”
পরবর্তীতে কবি বহু মূল্যবান কবিতা ও কাব্যগ্রন্থ রচনা করে বাংলা প্রেমী মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। কবির কবিতার ভাষা, ছন্দ, উপমা ও শব্দ চয়ন আমাদের মুগ্ধ করে। ‘কবি ও কবিতা’ শিরোনামে কবি লিখেন,
“কবিতা প্রেমের অর্ঘ্য, কবিতার উচ্চারণ প্রেম,
দৃষ্টির নিকষে স্বচ্ছ পরিপূর্ণ নিকষিত প্রেম।”
২০০৮ সালে আমার প্রকাশনীর যাত্রা শুরুর পর ভাবছিলাম কীভাবে, কোথায় মূল্যবোধ সম্পন্ন গ্রন্থ ছাপিয়ে যুব সমাজের হাতে তোলে দেয়া যায়। আজকাল আমাদের দেশে যে সকল গল্প, উপন্যাস প্রকাশিত হয়, তার সবই যৌন সম্পর্কীত বিষয় ভিত্তিক। যা আমাদের সমাজের যুব সমাজকে বিভ্রান্তিতে দিনের পর দিন নিয়ে যাচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র ও নজরুলের পর শক্তিমান কোন উপন্যাসিক রুচিসম্মত উপন্যাস রচনায় অবদান রাখতে পারেন নাই। তবে উপন্যাসিক, কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদ বাংলা সাহিত্যের নতুন ধরনের সৃষ্টিতে হলেও অবশ্য শেষের দিকে তার ‘দোয়েল’ উপন্যাস বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক, বিতর্কিত অনেক বিষয় উপন্যাসে স্থান দিয়ে তিনি তার পাঠকদের মনে বেশ পীড়া দিয়েছেন। অনেকে বলেন তার মৃত্যুর পর ছাপানো বইতে অনেক কিছু অন্য কেউ নতুন করে, ইচ্ছা করে সংযোজন করেছে।
যাহোক খুঁজতে খুঁজতে আমি সৈয়দ আলী আহসানের লিখিত “শ্রোতবাহী নদী” বইটি তার স্মৃতিচারণ গ্রন্থ, যা লেখালেখি থেকে ২০১৩ সালে প্রকাশ করা হলো। বইটি মাত্র ১১০ পৃষ্ঠার। মূল্য তিন শত টাকা মাত্র।
লেখক ‘স্রোতবাহী নদী’ গ্রন্থটি সম্পর্কে লিখতে গিয়ে ‘প্রাসঙ্গিক’ শিরোনামে বলেন, “আমার জীবনের শৈশব এবং কৈশোরকালের আলেখ্য যে সময় একটি বালক আপন বুদ্ধিতে এবং বিবেচনায় সময়ের প্রেক্ষাপটে বিচরণ করে না, কিন্তু পিতা-মাতার শাসনে এবং মমতায় নদীর স্রোতের মত বহমান থাকে। এই গ্রন্থে আমি বলেছি আমার শৈশব জীবন গড়ে উঠেছিল নদীর তীরে এবং এই নদীর তীরে দাঁড়িয়ে বর্ষাকালে সর্বকুলপ্লবী নদীর বিস্তার দেখে আমি বিচিত্র শব্দ শুনেছি নদীর স্রোতধারার অগ্রযাত্রায়। নদীর স্রোত যেমন অগ্রসর হয়ে চলে আমিও তেমনি ইচ্ছা অনিচ্ছার আকর্ষণ এবং হতাশায় অগ্রসর হয়ে বলেছিলাম। সেই যাত্রার ইতিহাস এই গ্রন্থে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। গ্রন্থের মধ্যে একটি ধারাক্রম আছে। কিন্তু সুষ্পষ্টভাবে কোন সময়কে চিহ্নিতকরণ নেই। তবুও এ গ্রন্থটি আমার শৈশব জীবনের বিশ্বাস, আনন্দ ও আকর্ষণের রেখাচিত্র।”
কবি সৈয়দ আলী আহসান কবি মধুসূদনের কবিতার মাধ্যমে বাংলা কবিতার শব্দের তাৎপর্য আবিষ্কারের কৌতুহলী ছিলেন। তাই তিনি মনে করতেন কবিতায় যে শব্দের একটি অন্তগূর্ঢ় চৈতন্য থাকে তা মধুসূদনের কবিতা পাঠ না করলে অনুভব করা তার পক্ষে সম্ভব হতো না। তাই তার নিকট মাইকেল মধুসূদন ছিলেন মহৎ কবি, কেন না তিনি শব্দের ভুবনে অনায়াসে বিচরণ করেছিলেন।
কবি কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে‘শ্রোতবাহী নদী’ গ্রন্থের শেষে এসে আলী আহসান বলেন, “স্কুল জীবনে রবীন্দ্রনাথের কবিতা, নজরুলের কবিতা এবং জসীমউদ্দীনের কবিতা আমার ভালো লাগতো এবং আমার কাব্যচিন্তার পরিস্ফুটনের ক্ষেত্রে প্রধানত রবীন্দ্রনাথ পরে নজরুল ইসলাম প্রভূত প্রভাব বিস্তার করেছিল।”
অধ্যাপক আবু জাফর এর “হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মহা বিপ্লবের মহানায়ক” গ্রন্থটি ছাপানোর সময় আমি গোলাম মোস্তফার ‘বিশ্বনবী” এবং সৈয়দ আলী আহসানের ‘মহানবী” গ্রন্থ দুটি দেখার সময় বের করেছিলাম। সৈয়দ আলী আহসানের মহানবী গ্রন্থটি অতি চমৎকার। তরুণ, শিক্ষিত যুব সমাজের জন্য বেশ উপযোগী, সুপাঠ্য।
সৈয়দ আলী আহসান তার লেখা ‘মহানবী’ গ্রন্থের ভূমিকায় ১৯৯৪ সালে ২৩শে ফেব্রæয়ারি উত্তর ধানমন্ডি নিজ বাসায় লিখতে গিয়ে বলেন, “মহানবীর জীবনকথা রচনায় আমার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আত্মশুদ্ধি। আরেকটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমাদের শিক্ষিত সমাজের কাছে মহানবীর একটি পাঠযোগ্য গ্রন্থ উপহার দেয়া। আমি বিশ্বাস করি যে, মানুষের সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক সে সম্পর্কের চরিত্র অনুধাবন করতে হলে মহানবীর জীবনের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হয়। মানুষ পৃথিবীতে এসেছে মহাপ্রভু আল্লাহর ইচ্ছায় এবং তারই একান্ত ইচ্ছায় সে সুযোগ পেয়েছে আপন অস্তিত্বকে জানবার, বিশ্বভূমায় নিজের স্থান চিহ্নিত করবার এবং সর্বোপরি পৃথিবীতে জীবন যাপনের অধিকার পেয়েছে বলে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবার। বিভিন্ন দুর্দশা থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে এবং সত্য ও পরিচ্ছন্নতার মধ্যে জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মহানবীর জীবনকথা জানা প্রত্যেক মানুষের জন্য অপরিহার্য।
‘মহানবী’ গ্রন্থটি সৈয়দ আলী আহসানের অসাধারণ সৃষ্টি। ২১৮ পৃষ্ঠায় লিখিত গ্রন্থে ২৪টি পরিচ্ছেদে লেখক মহানবীর জীবনের মূল্যবান, সুললিত ভাষায়, কর্ম জীবনের নিখুঁত বর্ণনা।
সৈয়দ আলী আহসান যে শুধু একজন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, অনুবাদক, শিল্প তত্ত¡জ্ঞ ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক ও ছিলেন। জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তা তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন।
তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। প্রথমে সরকারি কলেজের শিক্ষকতা দিয়ে কর্ম জীবন শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, করাচী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব ও পালন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। পরবতর্েিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপদেষ্টার দায়িত্বও তিনি পালন করেন। বাংলা একাডেমীর পরিচালক ও সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছিল অন্যতম।
এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি অবিরাম সাহিত্য চর্চা করে গিয়েছেন। তাঁর কবিতা, প্রবন্ধ, গবেষণাধর্মী গ্রন্থ, অনুবাদ পাঠক সমাজকে গভীরভাবে মোহিত করে। ছোট, বড় মিলিয়ে তাঁর লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৮১টি।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে সৈয়দ আলী আহসান একজন অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব। বাংলা সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রে তাঁর আশ্চর্য অধিগম্যতা ছিল। শিল্পকলা বিষয়েও তাঁর পরিণত বুদ্ধি ও বিচার বিশ্লেষণ সকলকে মুগ্ধ করেছে। মানবতাবোধের সকল অঙ্গনকে তিনি স্পর্শ করেছেন।
আবাল্য সৈয়দ আলী আহসান ধর্মীয় পরিবেশে বড় হয়েছেন। তাঁর পূর্ব পুরুষ সকলেই সুফী মতাদর্শে দীক্ষিত ছিলেন। শৈশবে পারিবারিক পরিবেশে আরবী, ফারর্সী ও উর্দু শিক্ষা লাভ করার সুযোগ পান। তাঁর দুইটি ধর্মীয় গ্রন্থ ‘হে প্রভু আমি উপস্থিত’ এবং ‘নাহজুল বালাখা’ ব্যাপক জনপ্রিয়।
লেখকের ‘মহানবী’ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যে অমর সৃষ্টি। যে জীবন মানুষকে অভিভূত করে, যে জীবন বিধাতার নিকট আত্মসমর্পণের একটি অলৌকিক পরিচয় বহন করে এবং যে জীবন সকল মানবের কল্যাণে সর্বসময়ের জন্য নিয়োজিত সেই জীবনের একটি মনোজ্ঞ আলেখ্য ‘মহানবী’ গ্রন্থটি।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে বিশাল মহিরুহ সমান সৈয়দ আলী আহসান। তাঁর লেখা, চিন্তা, চেতনা আজও আমাদের মুগ্ধ করে, নতুন নতুন জ্ঞানে হৃদয়কে বড় করে, চিন্তাকে পরিচ্ছন্ন করে। তাঁর অমর সৃষ্টি আমাদের ঐতিহ্য (১৯৪৮), কবিতার কথা (১৯৫২), বাংলা সাহিত্যের ইতিবার্তা (১৯৫৬), আধুনিক বাংলা কবিতা, রবীন্দ্রনাথ কাব্য চর্চার ভূমিকা (১৯৭৪), বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (২০০১), মনীষার মুখ, চর্যা গীতিকা প্রভৃতি চিরকাল আমাদের জ্ঞান দিয়ে যাবে। তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
সৈয়দ আলী আহসান ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী চিন্তা চেতনার বিশ্বাসী মুক্তিযোদ্ধা। দেশকে ভালবাসতেন নিজের জীবনের চেয়ে বেশি তাইতো জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে শরীক হতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সব সময় তিনি দেশকে নিয়ে ভাবতেন। চিন্তা করতেন। কথা বলতেন। পরামর্শ দিতেন। তাই তার লেখনিতে তেমনি ভাবের প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। তিনি তাঁর ‘স্রোতবাহী নদী’ বলে উঠেন,“আমার জীবনে আমি সর্বদাই পিতা মাতার মুখে ঐশ্বর্য এবং সমৃদ্ধির কথা শুনেছি। শুনেছি, পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার কথা। আজ চতুর্দিকে দৃষ্টিপাত করে গøানি ও অকল্যাণ যখন আমাকে বিমর্ষ করে তখন পুরনো দিনের পরিচ্ছন্নতার দাবির কথা মনে জাগে। ভাবি, যদি চতুর্দিককে মুক্ত বায়ুপ্রবাহে সিগ্ধ করা যেত এবং পানির প্রবাহকে স্বচ্ছ এবং গতিময় রাখা যেত তাহলে বোধহয় আমাদের সমৃদ্ধির অপলাপ ঘটতো না।”
আজকে আমাদের সমাজে তা ঘটে চলেছে। অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম দুর্নীতি, অপশাসন সমাজের সকল স্তরকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে। আমাদের সমাজে মুক্ত বায়ু প্রবাহ চালু রাখা যেতো, আর আমাদের নদীগুলোর পানির প্রবাহকে প্রবাহমান রাখা যেতো তখন আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া অতি সহজ হয়ে পড়তো। সেই সুন্দর দিনের অপেক্ষায় যুব সমাজের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
আবুল কাসেম হায়দার
সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।
লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।