In Social transition poor people need to be more privileged

সামাজিক উত্তোরণে-গরীবদের বেশি সুবিধা দিতে হবে

সামাজিক উত্তোরণের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্ব-প্রতিযোগিতায় অনেক অনেক পিছিয়ে রয়েছি। কিন্তু ১৯শে জানুয়ারি ২০ ডবিøউইএফ সামাজিক উত্তোরণ সূচক-২০২০ প্রকাশ করেছে। ৮২টি দেশের মধ্যে আমাদের স্থান ৭৮তম। সবার উপরে- রয়েছে সামাজিক- উত্তোরণের ক্ষেত্রে ডেনমার্ক। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র বিমোচনের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছি। কিন্তু বাস্তব অবস্থা আমাদের অনেক নিম্নে। এই অবস্থা কেন হলো। কি কারণে এত উন্নতির পরও আমরা সামাজিক উত্তোরণের ক্ষেত্রে ৮২টি দেশের মধ্যে ৭৮তম!


আপনার আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। দেশে মানসম্পন্ন শিক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা সীমিত পরিসরে থাকলেও সামাজিক ও আর্থিক কারণে সেগুলোর সুবিধা নিতে পারছেন না। প্রতিযোগিতার বাজারে আপনি ধনীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছেন। তিন দশক ধরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বেশ ভালো করছে বাংলাদেশ। প্রায় সব মহলেই প্রশংসা। কিন্তু সামাজিক উত্তরণে ধনীরাই বেশি সুবিধা পাচ্ছে, গরিবেরা তেমন পাচ্ছে না। এই চিত্র ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডবিøউইএফ) সর্বশেষ সামাজিক উত্তরণ সূচকেও উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশ ৮২টি দেশের মধ্যে ৭৮তম স্থানে আছে, অর্থাৎ সবার সুষম উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনো তলানির সারির একটি দেশ বাংলাদেশ।


গত ১৯ জানুয়ারি ডবিøউইএফ সামাজিক উত্তরণ সূচক ২০২০ প্রকাশ করেছে। তালিকায় শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। পরের দুটি স্থানে নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। বাংলাদেশের পেছনে আছে পাকিস্তান, ক্যামেরুন, সেনেগাল ও আইভরিকোস্ট। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে ভালো অবস্থায়, ৫৯তম। আর ভারত ও পাকিস্তান যথাক্রমে ৭৬ ও ৭৯তম। সামাজিক উত্তরণ সূচকের মাধ্যমে কোনো দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ মৌলিক সুবিধা কতটা পাচ্ছে, সেটা বোঝানো হয়।


শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক উত্তরণের সুবিধা গ্রহণ করার সক্ষমতা এ দেশের সবার এক রকম নয়। এর প্রধান কারণ জন্মগত বাধা। এসব সুবিধা সমানভাবে না পাওয়ায় ধনী ও গরিবের মধ্যে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। যেমন ধনী পরিবারের সন্তানেরা শহরের ভালো স্কুলে পড়ে, মানসম্পন্ন শিক্ষা পায়। অন্যদিকে গরিবেরা তা থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে দক্ষ মানবসম্পদ হওয়ার পথে গরিবেরা বাধার মুখে পড়ে। একই চিত্র স্বাস্থ্য খাতে। এমনকি জন্ম–পূর্ববর্তী বঞ্চনার শিকার হয় শিশুরা। গরিব ঘরের গর্ভবতী মায়েরা মানসম্পন্ন খাবার পান না, শিশুর জন্মের পর টিকাও দেওয়া হয় না। ফলে একধরনের অপুষ্টিতে ভোগে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা। এভাবে মৌলিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের কারণে ধনী গরিব নির্বিশেষে সামাজিক উত্তরণে বাংলাদেশ এত পিছিয়ে আছে। দেশে ধনীরা মানসম্পন্ন সেবা নিতে পারেন, গরিবদের সুযোগ কম। সামাজিক উত্তরণে পেছনের সারিতে বাংলাদেশ।১০টি উপসূচক দিয়ে সামাজিক উত্তরণ সূচক তৈরি করেছে ডবিøউইএফ। এগুলো হলো স্বাস্থ্য, শিক্ষার সুযোগ, মান ও সমতা; জীবনভর শিক্ষার সুবিধা, প্রযুক্তির লভ্যতা, কাজের সুযোগ, ন্যায্য মজুরি, কাজের পরিবেশ, সামাজিক সুরক্ষা ও সরকারি সেবার বিস্তৃতি।


উপসূচকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা জীবনভর শিক্ষার সুযোগে। এ উপসূচকে ৮২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮২তম। শিক্ষকদের দুর্বল প্রশিক্ষণ, বাজারচাহিদা অনুযায়ী শিক্ষানীতির অভাব, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের অভাবের কারণে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে আছে।


সামাজিক সুরক্ষার কার্যক্রমের পরিধি আগের চেয়ে বেড়েছে, কিন্তু মিলছে না সুফল। এ উপসূচকে ৮১তম স্থানে বাংলাদেশ। এর মানে সামাজিক সুরক্ষা সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাচ্ছে না। আর বিভিন্ন সরকারি সেবার বিস্তৃতিতে ৮০তম স্থানে আছে, অর্থাৎ সরকারি সেবার কার্যকারিতা খুবই কম। কাজের পরিবেশ উপসূচকে ৭৯তম স্থানে বাংলাদেশ। ন্যায্য মজুরি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো। এ উপসূচকে ৩৩তম স্থানে বাংলাদেশ। এ ছাড়া সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য সূচকে ৭৯তম, শিক্ষার সুযোগে ৭৫তম, শিক্ষার মান ও সমতায় ৭৮তম, প্রযুক্তির লভ্যতায় ৭৬তম, কাজের সুযোগে ৭০তম স্থানে আছে।


বৈষম্য বাড়ছে :
বাংলাদেশ এখন উচ্চ বৈষম্যের দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে গরিব ২০ লাখ পরিবারের প্রতি মাসে গড় আয় মাত্র ৭৪৬ টাকা। আর সবচেয়ে ধনী ২০ লাখ পরিবারের গড় আয় ৮৯ হাজার টাকা। এই ধনী পরিবারগুলো সবচেয়ে গরিব পরিবারগুলোর চেয়ে ১১৯ গুণ বেশি আয় করে। আয়বৈষম্যের কারণে মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ জীবনমান উন্নত করার সুযোগ থেকে পিছিয়ে থাকছে গরিব পরিবারগুলো। বিবিএস বলছে, দেশের মানুষের যত আয়, তার ৩৮ শতাংশই হলো সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের। আর সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশের হাতে মাত্র ১ শতাংশের মতো আয়।


এ দেশে শিক্ষিত তরুণদের কাজের সুযোগও তুলনামূলক কম। গত বছরের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশের বেকারদের ৩৯ শতাংশই উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। সপ্তাহে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ না পেলেই বেকার হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসাবে দেশে বেকার প্রায় ২৭ লাখ। তাঁরা স্বীকৃত বেকার। কিন্তু ছদ্ম বেকারের সংখ্যাও কম নয়। এই সংখ্যা প্রায় ৬৬ লাখ। তাঁরা মনমতো কাজ পাচ্ছেন না। তাঁরা টিউশনি, বিক্রয়কর্মী, অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের (রাইড শেয়ারিং) চালকসহ বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী কাজ করছেন। গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দেশে স্নাতক পাস করে কমপক্ষে এক দুই বছর বেকার বসে থাকতে হয়।


দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বাজারচাহিদা অনুযায়ী মানবসম্পদ তৈরি করতে পারছে না। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মান শহুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। গত ১০ বছরে সামাজিক সুরক্ষায় সরকার খরচ প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি করলেও অতিদরিদ্র অর্ধেক গরিব মানুষ তা পাচ্ছেন না। দেশের ৭৪ লাখ লোককে বিধবা ভাতা, দরিদ্র নারীদের মাতৃত্বকালীন ভাতার পাশাপাশি টেস্ট রিলিফ, ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিডি), কাজের বিনিময়ে টাকাসহ (কাবিটা) বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে প্রায় পৌনে দুই কোটি অতিদরিদ্র মানুষ আছে।
একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে যে পরিবেশে বেড়ে ওঠে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে তার সম্ভাবনা কতটা কাজে লাগাতে পারে, তা ধরে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাংক মানবসম্পদ সূচক তৈরি করেছে। সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের শিশুরা তার সম্ভাবনার মাত্র অর্ধেক কাজে লাগাতে পারে। এর মানে, বাকি অর্ধেক সম্ভাবনাই নষ্ট হয়ে যায়।


সামাজিক উত্তরণের বাধাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জন্য সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিনিয়োগ ক্ষেত্র পুনর্বিন্যাস করা হবে। তাঁর মতে, শুধু সামাজিক সুরক্ষা দিয়ে বৈষম্য কমানো যাবে না। দারিদ্র্য কমাতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য বরাদ্দ বাড়ালে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠবে। তখন এমনিতেই আয়বৈষম্য কমে যাবে।
এখন কি করণীয় :


১. আমাদের করণীয় অনেক রয়েছে। আগামি পরিকল্পনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা তখন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় হতে হবে। কেন ধনীরা ধনী হচ্ছে গরীব কেন সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ঠিক মত পাচ্ছে না তার কারণ চিহ্নিত করে, বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকার বর্তমান বাজেটে ও নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রামকে শহরে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন, অর্থাৎ শহর অঞ্চলের মানুষ যে সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, গ্রামের মানুষও তা পাওয়ার ব্যবস্থা করবে। এই ঘোষণা বা ইশতেহার কার্যকরী হলে আগামিতে আমাদের সামাজিক উত্তোরণের সূচক অনেক এগিয়ে আসবে।


২. স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী অধিকাংশ গ্রামে বসবাস করে। ধনী শ্রেণীরা শহর অঞ্চলে থাকেন। ঢাকাসহ বড় বড় শহর সমূহে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অনেক সুব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অনুরূপ ব্যবস্থা নাই। এখনও এমন এমন বাস রয়েছে যেখানে একটিও প্রাইমারী স্কুল নাই। তা হলে শিক্ষার আলো কিভাবে সকল মানুষ সমানভাবে পাবে। আবার গ্রাম সমূহে উন্নতমানের স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল একই বললে চলে।


৩. এত চেষ্টা, এত বিরাট বিরাট বাজেট থাকার পরও কেন ধনী দর্রিদ্রের ব্যবধান না কমে বাড়ছে কেন! সম্পদের সুষম বন্টন না হওয়া প্রধান কারণ। অন্যদিকে দুর্নীতি, অনিয়ম, আমাদের বাজেটের বড় অংশ অপচয় হচ্ছে। তাই সুশাসন কায়েম করতে হবে। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দরিদ্রের হক সঠিকভাবে পৌছে দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে সৎ যোগ্য, দেশপ্রেমিক, কর্মকর্তা ও শ্রমিক প্রয়োজন। সেই কাজটি সরকারকে করতে হবে।


৪. গ্রামের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এই জন্য গ্রাম, চর অঞ্চল, দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের জন্য সাদকা ও অধিক পরিমাণে বাজেট করতে হবে। এই বাজেট হতে হবে জনসংখ্যা অনুপাতে। এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য বিশেস নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়মকে একেবারে মেনে নেয়া যাবে না। কঠোর হস্তে দুর্নীতিকে দমন করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


৫. প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সরকার বেশ নজর দিয়েছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এখনও আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারি নাই। এই জন্য শিক্ষা বড় কারণ। সকল মানুষের জন্য সুশিক্ষা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয় নাই। শহর ও গ্রামের মানুষ সুশিক্ষা সমান ভাবে গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয় নাই। শহরের ছেলে মেয়েরা এই সুযোগ বেশি পাচ্ছে। অন্যদিকে গ্রামের স্কুল, কলেজ আইটি শিক্ষার এমনও বেশ দৈন্যদশায় রয়েছে। আইটি শিক্ষা কলেজে বাধ্যতকতা করা হয়েছে। কিন্তু কলেজে শিক্ষক নাই। শিক্ষক পাওয়া যায় না। তাই আইটি শিক্ষা অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে।


৬. সরকার স্বাস্থ্য খাতে বেশ জোর দিচ্ছেন। প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি হাসপাতাল স্থাপন করছেন। কিন্তু হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার নাই, যন্ত্রপাতি নাই, নার্স নাই, ঔষধ ঠিক মত পাওয়া যায় না। তাই স্বাস্থ্য সেবা থেকে গ্রামের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। পুষ্টির অভাবে শিশুর ও মা সব গ্রামে বঞ্চিত। দারিদ্র্যতার জন্য গ্রামে শিশুর মা প্রয়োজনীয় পুষ্টিযুক্ত খাদ্য খেতে পারে না। এই ক্ষেত্রে দারিদ্র্যতা দূরীকরণই বড় কাজ।


৭. সামাজিক উত্তোরণের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সহঅবস্থান ও ন্যায়সঙ্গত জাতীয় নির্বাচন খুবই জরুরী। দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ সরকারেরও নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তাই আস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। সকলের গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনী প্রয়োজন। দেশে নিয়মিত সব ধরনের নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন সকলের গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। তাই বিতর্ক থেকে যাচ্ছে। সকল বিতর্ক দূর করে, স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবী দিন দিন শক্ত হচ্ছে।


সামাজিক উত্তরণের জন্য ন্যায় বিচার যেমন প্রয়োজন তেমনি ন্যায় ভিত্তিক নির্বাচন ও সকলের জন্য প্রয়োজন। ন্যায়ের শাসন কায়েম না হলে সামাজিক অবক্ষয় দূর করা সম্ভব নয়।

Abul Quasem Haider
আবুল কাসেম হায়দার

সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।

লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments