পৃথিবীর উন্নত দেশ সমূহে সরকার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালনা করে। বিশেষ করে খনিজ, জ্বালানী জাতীয় শিল্পকে সরকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করে। তাই এই সকল প্রতিষ্ঠান সরকার পরিচালনা করে। খনি, গ্যাস, তেল প্রভৃতি দ্রব্য সরকারকে ব্যবসায়িক উপায়ে কাজ করতে হয়। পৃথিবীর বড় বড় কয়লা খনি, তেল উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাত করণ, স্বর্ণ, রৌপ্য সহ নানা খনিজ পদার্থ আবিষ্কার, উত্তোলন ও বিক্রয় সরকার সমূহ করে আসছে।
কিন্তু আমাদের দেশে তেল, গ্যাস, কয়লা ছাড়াও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পর ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ করা হয়। বিগত প্রায় ৫০ বছরে অনেক চেষ্টা করেও সরকার পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানা লাভের মুখ খুব কমই দেখতে পেয়েছে। সরকারের পরিচালিত রেল, বিমান, নৌ-যান আজও পর্যন্ত লোকসান ছাড়া কিছুই করতে পারেনি।
প্রতি বছরের মতো এবারও সকরার ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। উক্ত সমীক্ষায় উঠে এসেছে-রাষ্ট্রীয় ৩০টি করপোরেশনের মধ্যে ১৮টির নিকট বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের ঋণের পরিমান ৩৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। এই ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন ঋণ রয়েছে সবচেয়ে বেশি। আবার ১৩টি প্রতিষ্ঠানে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এই সকল প্রতিষ্ঠানের ঋণের বড় একটি অংশে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা’ ২০ এই সকল তথ্য বের হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে সরকারের এই সকল প্রতিষ্ঠান লোকসানে পরিণত হয়েছে। লোকসানের কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে নানা কারণে এই সকল প্রতিষ্ঠান লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানতম অতিরিক্ত রাজনৈতিক প্রভাব, কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় ট্রেড ইউনিয়নের হস্তক্ষেপ, অধিক জনবল নিয়োগ, ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা, মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে ব্যর্থতা এবং মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়। কোথাও কোথাও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেও কোন উল্লেখযোগ্য উন্নতি বা পরিবর্তন আসেনি।
রাষ্ট্রীয় করপোরেশন দায়দেনা ও লোকসান বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিষয়টি কোন সরকার নানা কারণে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে পারছে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এই সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকসান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সকল প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ঋণ গ্রহণ করছে, কিন্তু পরিশোধ করছে না বা করতে পারছে না। প্রতি বছরের বাজেটে এই সকল সংস্থাকে কিভাবে লাভে আনা যাবে তার নির্দেশনা তেমন থাকে না, উন্নয়নও হচ্ছে না। অথচ এই অর্থ এই সকল লোকসানি প্রতিষ্ঠানে না দিয়ে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহার করা অনেক ভাল।
লোকসানি প্রতিষ্ঠানসমূহ: সবচেয়ে বেইশ লোকসান দিচ্ছে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট লোকসান দায় ২ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১ হাজার ৬১ কোটি টাকা লোকসানে দিয়েছে চিনি ও খাদ্য করপোরেশন, বিজিএমসি ৭৪২ কোটি টাকা, বিসিআইসি ২১ কোটি টাকা, ঢাকা ওয়াসা ২৯৩ কোটি টাকা, বিআরটিসি ৬৯ কোটি টাকা, টিসিবি ৫৫৭ কোটি টাকা, খুলনা উন্নয়ন করপোরেশন ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, বিএফডিসি ১৮ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা, বিআইডাবিøউটিএ ৫৬ কোটি ২২ লক্ষ টাকা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ২৭ কোটি এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স সেন্টার ৩৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা লোকসান দিয়েছে।
এই সকল প্রতিষ্ঠান লোকসান দেয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। পূর্বে কিছুটা কারণসমূহ উল্লেখ করেছি। কোম্পানিগুলোকে লাভজনক অবস্থায় আনতে হলে প্রয়োজন উন্নত, স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাপনা। ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ছাড়া এই সকল প্রতিষ্ঠান লাভে আসবে না। যদিও বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলেও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ছাড়া কোনক্রমেই কখনো লাভজনক করা যাবে না। হিসাবপত্রেও অনেক কোম্পানির বেশ গড়মিল রয়েছে। আমাদের দেশে কোম্পানি লিস্টেট হলে কিছুটা স্বচ্ছতা থাকে। তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট রয়েছে। মানুষের আস্থায় প্রতিষ্ঠান সমূহ আনতে পারলে হয়তো লোকসান কমে আসতো। সরকারের মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়া প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা আসবে না। দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা করা ছাড়া লোকসান থেকে বাচার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠান: প্রাইভেটাইজেশন কমিশন গঠনের পর সরকার ইতিমধ্যে ৭৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছে। তবে ছেড়ে দেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টি বন্ধ রয়েছে। বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠান সমূহ হচ্ছে : কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস, সার্ভিস ফ্যাসিলিটিজ সেন্টার, সাতরং টেক্সটাইল মিলস, মেটালেক্স করপোরেশন, ইস্টার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ঢাকা ভেজিটেবল অয়েল, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ মুন্সিগঞ্জ, ফিরোজ আটা ও ডাল মিলস, বিজি বাংলা রাইস মিলস, কর্ণফ্লাওয়ার মিলস, দোশা এক্সট্রাকশন, আশরাফিয়া অয়েল মিলস, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ খুলনা, বাওয়া জুল মিল, ঈগল বক্স অ্যান্ড কার্টুন, স্কুইব বাংলাদেশ লিমিটেড, কোহিনুর ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং, ফিস এক্সপোর্ট বাজুয়া এবং ম্যানগ্রোভ টেনিন।
যে কারণে প্রতিষ্ঠানে লোকসানে: সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহে বছরের পর বছর কেন লোকসান চলছে, তার নানা কারণ রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানে লোকসান হবে তা বের করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। উক্ত টাস্কফোর্স একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারের নিকট দাখিল করে। সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু উন্নতি খুবই ধীরে, স্বল্প পরিসরে। উক্ত টাস্কফোর্সে বলা হয়েছে- যে সকল কারণ তা হচ্ছে : আগের দায়দেনা, ব্যাঙ্ক ঋণের উচ্চ হারে সুদ, শিল্প খাতে সরকারের প্রণোদনার অভাব, গ্যাস-বিদ্যুতের অভাব, জ্বালানি তৈলের উচ্চমূল্য, দক্ষ জনশক্তির অভাব,সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতন ও সুযোগ সুবিধার পার্থক্য, সিবিএর অযৌক্তিক দাবী-দাওয়া, কখনো কখনো কাঁচামালের স্বল্পতা, বিএমআরই করার জন্য মূলধন না থাকা।
এর পর পর প্রাইভেটাইজেশন কমিশন ভেঙে অনেক আগেই বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কোন উন্নতিমূলক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
কার কত ঋণ: ঋণের ভারে সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। প্রতি বছর শুধু ঋণ বৃদ্ধিই পাচ্ছে। ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান ঋণের সুদটুকু পরিশোধ করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩০ কোম্পানির ঋণের পরিমাণ ৩৯ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ঋণ গ্রহণ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। বর্তমানে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনে ঋণ হচ্ছে ৬ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ৫ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ হাজার ১০৩ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা, বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ২ হাজার ২০৫ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন ১ হাজার ৪১১ কোটি টাকা, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) ৯৩৫ কোটি টাকা এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।
তবে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ে রয়েছে। ঋণ খেলাপি প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে: বিএডিসি হচ্ছে ২১ কোটি টাকা, বিটিএমসি হচ্ছে ২১ কোটি টাকা, বিজেএমসি ১৫ কোটি টাকা, বিটবি হচ্ছে ১০ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে রয়েছে। সমস্যা সমাধানের কোন ভাল লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না।
উত্তরণের উপায়: প্রতিষ্ঠান সমূহের লোকসানের কারণ ইতিমধ্যে সসরকার চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিবেদনও তৈরি করে জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের গতি খুবই দুর্বল ও ধীর গতিতে। এই অবস্থার পরিবর্তন খুবই প্রয়োজন।
১. প্রথমে আমাদের চিন্তা করতে হবে কি কি ব্যবসা সরকার করবেন। কোন কোন প্রতিষ্ঠান সরকার কর্তৃক পরিচালিত হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশ সমূহে কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা শিল্প সরকার পরিচালনা করছে তা দেখে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশের মত ঢালাও ভাবে সকল শিল্প-কারখানা কোন দেশে, কোন সরকার জাতীয়করণ করেন নাই। ১৯৭২ সালে আমরা জাতীয় করণের মূল ভুল করেছিলাম। তখন সদ্য স্বাধীন দেশের কোন উপায়ন্তর ছিল না। পাকিস্তান কর্তৃক পরিত্যাক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারের দায়িত্ব নেয়া ছাড়া কোন গতি ছিল না। কিন্তু আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে অবস্থার বৈজ্ঞানিক সমাধান হওয়া প্রয়োজন ছিল। তা আমরা এখনও করতে পারি নাই। এখন অবশ্য বিডা’কে দ্রæত সিদ্ধান্ত নিয়ে লোকসানি প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২.রেল, বিমান, জ¦ালানি, খনিজ এই কয়েকটি খাত ছাড়া বাকি সকল খাতের প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানাকে পর্যায়ক্রমে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার দ্রæত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নতুবা প্রতি বছর লোকসান বাড়তে থাকবে।
৩.রাজনৈতিক বিবেচনায় কোন প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠান কোনক্রমেই সরকারের হাতে রাখা উচিত হবে না। সরকার ব্যবসা করবে না। সরকার ব্যবসায় সহযোগিতা করবে। নীতি ও আদর্শেকে সহযোগিতা করা সরকারের মূল কাজ। ব্যবসা করা কোন সরকারের প্রধানতম কাজ হতে পারে না। কিন্তু বিগত ৫০ বছর আমাদের সরকার সমূহ অগণিত প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সফলতা দেখাতে পারে নাই।
৪.সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ থেকে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় জনশক্তি হ্রাস করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত জনশক্তি থাকার কারণে ঋণের ভার বৃদ্ধি পাচ্ছে। পণ্য উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে। বাজারে পণ্য প্রতিযোগিতায় ঠিকতে পারছে না।
৫.অদক্ষ, অযোগ্য ও অসৎ কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত বিদায় করার ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্নীতি, অনিয়ম এই সকল প্রতিষ্ঠানের লোকসানের অন্যতম কারণ। একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
৬.ব্যাঙ্কের সুদের হার কমিয়ে আনতে হবে। নূন্যতম হারে ঋণ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে যে সকল প্রতিষ্ঠানে স্বল্প সুদে বিদেশি ঋণ নেয়া যায় সেই সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্বল্প সুদে বিদেশি ঋণ নিয়ে দেশি উচ্চ হারে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তাতে লোকসান কমে আসবে। তখন কোন কোন প্রতিষ্ঠান লাভে চলে আসবে।
৭.ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহে সবচেয়ে বড় রকমের অনিয়ম দেখা যায়। বিগত এক বছরে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, অনিয়ম যে চিত্র দেখা গিয়েছে তা খুবই ভয়াবহ, কঠিন এই অবস্থার পরিবর্তন ছাড়া আমাদের উন্নয়ন চোখে দেখা দিবে না। বিশেষ করে এবার কোভিড-১৯ কালে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, অনিয়ম যেভাবে দেখা গিয়েছে তা কোনক্রমে মেনে নেয়া যায় না। এই জন্য বিচার বিভাগকে স্বচ্ছতায় আনতে হবে। অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তাহলে এই সকল প্রতিষ্ঠানে লোকসানের পরিমাণ কমে আসবে এবং লাভের প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে। সবচেয়ে গুরুত্ব বিষয় হচ্ছে আমাদের প্রত্যেককে মনে করতে হবে, প্রতিষ্ঠান আমার। আমার উন্নতির জন্য আমাকে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে। নিজকে নিজের নিকট জবাবদিহিতায় আসতে হবে। নিজের ভুল নিজে সংশোধন করতে পারলে প্রতিষ্ঠানে দ্রæত অনিয়ম, দুর্নীতি দূর হবে। প্রতিষ্ঠান লাভজনক হয়ে উঠবে।
আবুল কাসেম হায়দার
সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।
লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।