আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার
চরণধূলার তলে।
সকল অহংকার হে আমার
ডুবাও চোখের জলে।
নিজেরে করিতে গৌরব দান
নিজেরে কেবলই করি অপমান,
আপনারে শুধু ঘেরিয়া ঘেরিয়া
ঘুরে মরি পলে পলে।
সকল অহংকার হে আমার
ডুবাও চোখের জলে।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতার প্রথমাংশ। একজন শিল্পী হিসাবে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উৎকর্ষ নিয়ে কিছু বলা অতিকথন। কিন্তু একজন পুরোদস্তুর রোমান্টিক কবি, কীভাবে কথা সাহিত্যেও শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠেন তা কৌতুলোদ্দীপক, একই সাথে অনুধাবনের অগম্যও বটে। কারণ আধুনিক কথা সাহিত্য অনেক বেশী বাস্তবতাসংলগ্ন, আর কবিতার সঙ্গে যদিও বাস্তবতার একটা যোগ থেকে যায়, তথাপি কবিতা যতটা না বাস্তবের তার চেয়ে বেশী অতিবাস্তবের বা কল্পনার।
১৯১৩ সালে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। “কাব্যের অতি উচ্চমাপের সংবেদনশীল, পরিশুদ্ধ ও সৌন্দর্য্যমন্ডিত পংক্তির জন্য, যার মাধ্যমে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তার কাব্যিক চিন্তা-চেতনা নিজস্ব ইংরেজী শব্দে প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন, যা পশ্চিমা সাহিত্যেরই একটি অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৫শে বৈশাখ ১২১৮, ৭ই মে ১৮৬১ সালে কলকাতার এক ধনাঢ্য ‘সংস্কৃতিবান ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালে ৭ আগস্ট, ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
তিনি ছিলেন একজন কবি, উপন্যাসিক, সঙ্গীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, ও বড় মাপের দার্শনিক। বাংলা ভাষায় তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি যার লেখা গান আমার সোনার বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। আর বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হচ্ছেন আমাদের জাতীয় কবি। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ‘জনগণ মন’ গানটি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। আর শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত ১৯৩৮ সালে ঠাকুরের লেখা একটি বাংলা গানের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল। এটি সিংহলীতে অনুবাদ হয়েছিল এবং ১৯৫১ সালে যা শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। তাই রবি ঠাকুর একজন বাঙালি ব্যক্তিত্ব তিনি তিনটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা।
আমাদেও জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে:
আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ||
ওমা, ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে-
ও মা অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে
আমি কি দেখেছি মধুর হাসি ||
কী শোভা, কী ছায়া গো,
কী স্নেহ, কী মায়া গো-
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে,
নদীর কুুলে কুলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে
লাগে সুধার মতো,
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে,
ওমা, আমি নয়ন জলে ভাসি
“একজন চূড়ান্ত আধ্যাত্মবাদী কবি কিভাবে তার উপন্যাসে দ্ব্যর্থহীনভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারেন যে ভারতবর্ষ বা সমগ্র মানবতার মুক্তির একমাত্র উপায় সকল ধর্মমতের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষকে শুধু মানুষ হিসেবে দেখার ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং সংকল্প? এই কৃটভাসের একমাত্র ব্যাখ্যা এটা নয় যে রবীন্দ্রনাথ আসলে অধ্যাত্মবাদী নন, বরং এটাই যে রবীন্দ্রনাথকে শুধু অধ্যাত্মবাদী বা শুধু বাস্তববাদী বলে প্রমাণ করা সম্ভব নয়; যদি কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় তাকে ফেলতেই হয় তাহলে একমাত্র “সংশয়বাদী’ বলাই অধিকতর যৌক্তিক বলে মনে হয়।”
উপরের বক্তব্যটি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ‘গোরা’ উপন্যাসের ভ‚মিকায় লিখেছেন ২০১৭ সালে। জনাব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন,
“ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথ বাঙালা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠদের কাতারে, কিন্তু উপন্যাসেও তাকে শ্রেষ্ঠদের তালিকায় রাখতে হয়তো দ্বিতীয়বার চিন্তা করার অবকাশ থাকতো, যদি এবং কেবল যদি তিনি ‘গোরা’ উপন্যাসটি না লিখতেন। এই একটি উপন্যাস দিয়ে তাকে অনায়াসে আমাদের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিকদের সারিতে রাখতে বাধ্য হতে হয়। গোরা শুধু তার না, বাঙালা সাহিত্যেরই একটা শ্রেষ্ঠ উপন্যাস একথা বলতে আমাকে দুইবার ভাবতে হয় না।”
সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মতো বাঙালা উপন্যাসেও রবীন্দ্রনাথকেই তাই পথ প্রদর্শক বলতে হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোট গল্পকার, প্রবন্ধকার। প্রথম উপন্যাস ‘করুণা’ তিনি লিখেছিলেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। বাইশ বছর বয়সে লেখেন ‘বউ ঠাকুরানীর হাট”। তার সামাজিক উপন্যাস হচ্ছে ‘যোগাযোগ’, চোখের বালি, নৌকা ডুবি ইত্যাদি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু গল্পই বলেন না, চরিত্র গঠনে জড়িয়ে থাকে এক গভীর জীবন দর্শন। জীবনে মানসিকভাবে নিজকে তৈরী করত সাহায্য করে তার কয়েকটি ছোট উপন্যাস। যেমনঃ নষ্টনীড়, চতুরঙ্গ, দুই বোন প্রভৃতি। ‘শেষের কবিতা’ তার জীবনের সেরা উপন্যাস।
রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা, চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, মানব প্রেম, রোমান্টিক সৌন্দয্যচেতনা, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।
রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ, দুই হাজারের অধিক গান রচনা করেছেন। দুই হাজারের অধিক তিনি ছবি এঁকেছিলেন। ১৯১৩ সালে তিনি ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের ইংরেজী অনুবাদের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। এই কাব্যটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১১ সালে। ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্য গ্রন্থের প্রথম কবিতাটি পাঠকের জন্য প্রথম ১০টি লাইন নিবন্ধের শুরুতে আমি উল্লেখ করেছি।
বাংলা সাহিত্যে প্রথম স্বার্থক ছোট গল্পকার ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বলতে গেলে বলা যায় হিতবাদী, সাধনা, ভারতী, সবুজপত্র প্রভৃতি মাসিক পত্রিকাগুলোর চাহিদা পূরণের জন্য তিনি ছোটগল্প রচনা করেছিলেন। তার গল্পগুলো অতি উচ্চ সাহিত্যমূল্যসম্পন্ন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৮৯১ সাল থেকে ১৮৯৫ সাল ছিল সর্বাপেক্ষা প্রথম তিন খন্ডের ৮৪টি গল্পের অর্ধেক রচিত হয় এই সময় কালের মধ্যে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য গল্প হচ্ছেঃ কঙ্কাল, নিশীথে, মহিহারা, ক্ষুধিত পাষাণ, স্ত্রীর পত্র, নষ্টনীড়, কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, দেনাপাওনা, মুসলমানীর গল্প ইত্যাদি। শেষ জীবনে লিপিকা, সে ও তিন সঙ্গী গল্পগ্রন্থে নতুন আঙ্গিক রচনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ তার গল্পে পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী ও আধুনিক ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতেন।
রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প অনুযায়ী চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। নাটক ও নির্মিত হয়েছে। পোষ্টমাষ্টার, সমাপ্তি, চারুলতা, মণিহারা, কাবুলিওয়ালা ও ক্ষুধিত পাষাণ প্রভৃতি গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘তোতা কাহিনী’ গল্পে বিদ্যালয়ের মুখস্থ শিক্ষাকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন। ১৯১৮ সালে তিনি বিশ্বভারতী বিদ্যালয় নিয়ে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন। নতুন ধারায়, নতুন পদ্ধতি, মূল্যবোধ সম্পন্ন মুক্ত জীবন গঠনের শিক্ষার আলো হাতে তিনি ভ‚মিকা রাখেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক দর্শন অত্যন্ত জটিল। তিনি সাম্রাাজ্যবাদের বিরোধিতা ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সমর্থন করতেন। ১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথের ‘মানসী’ কাব্যগ্রন্থে কয়েকটি কবিতায় তার রাজনৈতিক ও সামাজিক চিন্তার পরিচয় পাওয়া যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বিশ্বপ্রেমিক, সুন্দরের পূজারী। তার কন্ঠ ছিল সুন্দর, কাব্য সঙ্গীত ছিল খুবই সুন্দর, গানে কবিতায় তিনি সুন্দরের মহিমা কীর্তন করে গেছেন। সমাজ জীবনে যা কিছু অসুন্দর কুৎসিত এর মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। কবি পন্ডিত, দেশ প্রেমিক হিসেবে সর্বোপরি মানুষ হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কত বড় ছিলেন তা কথায় প্রকাশ করা যায় না।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অনুভব করা তথা জীবনও জগতকে উপলব্ধি করার জন্য যে দূরত্ব অতিক্রম করা প্রয়োজন, তার প্রিয়জনের মৃত্যু এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করছে। তা তার ‘কড়ি ও কোমল’ এ পাওয়া যায়-
মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই।
‘কড়ি ও কোমলে’ কবি আত্ম প্রতিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি। কিন্তু মানসীতে পেরেছেন। তাই কবি বলেছেন
“মানসীতে যাকে খাড়া করেছি যে মানসেই আছে
সে আর্টিস্টের হাতে রচিত ঈশ্বরের প্রথম অসম্পূর্ণ প্রতিমা।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার দীর্ঘ আশি বছরের জীবনে যেমন সাহিত্য রচনা করেছেন তেমনি মর্যাদা এবং সাফল্য ও পেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যিকার অর্থেই প্রতিভাবান। তিনি তার জীবনের শেষ সময় এসেও সাহিত্য রচনা করে গিয়েছেন। তিনি ছিলেন মহাসাধক, তিনি ছিলেন সত্য ও সুন্দরের কবি।
১৯১৫ সালে বৃটিশ সরকার ‘স্যার’ উপাধি (নাইটহুড) প্রদান করে। বৃটিশের প্রতি রবীন্দ্রনাথের সুধারণা, ভালবাসা বৃটিশ খুশী হয়ে এই উপাধি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ কবি নজরুলের মত ভারতের স্বাধীনতার জন্য সক্রিয় ভ‚মিকা রাখতে দেখা যায়নি। কবিতায়, গানে, গল্পে, উপন্যাসে কিংবা নাটকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের তির্যক ভ‚মিকা দেখা যায় নাই। তবে তিনি সমাজ সেবা, শিক্ষা, সমাজ সংস্কার করে মানুষের কল্যাণের কথা বলে মানবতাবাদী কবি, দার্শনিক হিসাবে নিজকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
যেমন ১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ একাধিক বক্তৃতা, গান ও কবিতায় ভারতীয় সমাজের বর্ণশ্রম প্রথা ও অস্পৃশ্যতার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
জীবনের শেষ দশক ১৯৩২-১৯৪১ রবীন্দ্রনাথের স্বর্ণযুগ। এই সময় তিনি ৫০টির অধিক গ্রন্থ রচনা করেন।
বাংলাদেশ তথা বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ একটি বিশেষ নাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় সমান প্রতাপের সঙ্গে বাংলা সাহিত্য, ভাষা ও সংস্কৃতিতে সমাসীন রয়েছেন। তার সর্বতোমুখী প্রতিভা, জ্ঞানের গভীরতা তাকে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এসেছিলেন ক্ষণকালের জন্য কিন্তু হয়ে রয়েছেন সর্বকালের। ভারতীয় হয়ে তিনি বিশে^র দরবারে আসন গেড়ে নিয়েছেন মর্যাদা ও যোগ্যতা বলে। ‘বিশ^কবি’ অভিধায় অভিসিক্ত হয়ে তিনি আছেন সকল মানুষের হৃদয়জুড়ে।
‘গীতাঞ্জলি’ কাব্য গ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তা ও তিনি নিজে- এই কাব্যগ্রন্থটি ইংরেজীতে অনুবাদ করেছেন। ‘গীতাঞ্জলি’ গ্রন্থের ১২৫ গীতিটি উল্লেখ করছি যা কবি নিজে ইংরেজীতে অনুবাদ করে আজও পাঠককে চমকিত করেন।
“আমার এ গান ছেড়েছে তার সকল অলংকার
তোমার কাছে রাখেনি আর সাজের অহংকার।
অলংকার যে মাঝে পড়ে
মিলনেতে আড়াল করে,
তোমার কথা ঢাকে যে তার মুখর ঝংকার।তোমার কাছে খাটে না মোর কবির পরব করা-
মহাকবি, তোমার পায়ে দিতে চাই যে ধারা।
জীবন লয়ে যতন করি
যদি সরল বাঁশি গড়ি,
জ্ঞাপন সুরে দিবে ভরি সকল ছিদ্র তার।”
রবীন্দ্রনাথের করা ইংরেজি অনুবাদে এটি হচ্ছে-
My song has put off her adornments. She has no pride of dress and decoration.
Ornaments would mar our union; they would come between
thee and me; their jingling would drown thy whispers.My poet’s vanity dies in shame before thy sight. O master poet, I
(Gitanjali, Verse VII)
have sat down at thy feet. Only let me make my life simple
and straight, like a flute of reed for thee to fill with music.
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যের দুইটি পংক্তি উল্লেখ করে নিবন্ধ সমাপ্তি টানছি-
“ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি
শ্রাবণগগণ ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি-
যারা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী”
তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চিরকাল বাংলা সাহিত্যে মূল চালিকা শক্তি হিসাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।
আবুল কাসেম হায়দার
সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।
লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্যার, তথ্যবহুল লাখাটি পড়ে উপকৃত হলাম ফারুক, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি।