Meitei Pangals

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে ইসলাম প্রচার

বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। আমাদের এই প্রিয় দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও নানা উপজাতি নিয়ে প্রায় ১৮ কোটি জনগোষ্ঠী রয়েছে। তবে সরকারের ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে মোট জনশক্তি ১৬ কোটি ১৭ লক্ষ। এই জনশক্তিতে রয়েছে মুসলমান ৮৬.৬%, হিন্দু ১২.১%, বৌদ্ধ ০.৬%, খ্রিস্টান ০.৪% ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, অন্যান্য ০.৩ শতাংশ।

আমাদের জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ বাঙালি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ২ শতাংশ। প্রধান নৃ-গোষ্ঠীসমূহ হচ্ছে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো, মনিপুরী ও তনচংগা।

আমাদের জনসংখ্যার মধ্যে ৮ কোটি ১০ লক্ষ পুরুষ, মহিলা ৮ কোটি ৭ লক্ষ। আমাদের শিক্ষার হার হচ্ছে ৬৩.৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২২ অনুযায়ী বয়সভিত্তিক জনসংখ্যা হচ্ছে : ০-১৪ বছর, ৩৮.৮ শতাংশ, ১৫-৪৯ বছর ৫৩.৭ শতাংশ, ৫০-৫৯ বছর। ৮.২ শতাংশ, ৬০ বছরের উর্ধ্বে : ৮১ শতাংশ।

বাংলাদেশের মুসলমান :
বাংলাদেশে মুসলিম জনগোষ্ঠী হচ্ছে ৮৬.৬ শতাংশ। বৃহত্তম এই মুসলিম দেশের মানুষের জন্য আজ করছেন। মুসলমানদের মধ্যে বড় একটি অংশ হচ্ছে আলেম ও উলামা বৃদ্ধ। ইসলাম প্রচার ও প্রসারের দেশের আলেম সমাজ যুগ যুগ ধরে কাজ করে আসছেন। পূর্বে ব্যক্তিগতভাবে ইসলাম প্রচার নিয়ম ছিল। বর্তমানে দল ও সংঘবদ্ধ হয়ে ইসলামের প্রচারে কাজ করে চলেছেন। দেশের আরও একটি অংশ তাবলিগ জামাত নামে বেশ কয়েক বছর ধরে ইসলাম প্রচারে কাজ করছে। বিভিন্ন ইসলামিক রাজনৈতিক দলও ইসলামের জন্য কাজ করছে।

খ্রিস্টান ও অন্য ধর্মের প্রচার :
ব্রিটিশ ভারত আমল থেকে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার ও প্রসারে ইংরেজরা নানা পদ্ধতি ও কৌশল অবলম্বন করে এই অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে। তাই অগণিত মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে। এখনও করছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা, চিকিৎসা খাতে হাসপাতাল সেবা এবং সরাসরি খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারে খ্রিস্টানেরা বাংলাদেশে কাজ করছে। ঠিক তেমনি বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের প্রচারে দেখা যায় খুবই কম। কিন্তু ইসলাম ধর্ম প্রচারে এই দেশের মুসলমানগণ তেমন ভ‚মিকা রাখছে না। বাংলাদেশে বড় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যা খ্রিস্টান। এই সকল ব্যবসায়ী এক সময় হিন্দু অথবা মুসলিম ছিল। আদর, যতেœ, সহযোগিতায় খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণে তারা আকৃষ্ট হয়েছে। এইভাবে আমাদের দেশে বিভিন্ন জেলায় খ্রিস্টানদের নানা স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। মানুষ উপকৃত হচ্ছে। কিছু কিছু নানা ধর্মের লোক খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করছে।

বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার :
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের আগম খুব বেশি পুরাতন নয়। মহানবী (সাঃ) পর ইসলাম ধর্মের প্রচারে বহু সাহাবী, তাবে তাবেইন, পীর-মোরশেদ, আলেম-উলামা ও মাশায়েকগণ ভারত বর্ষে ইসলাম ধর্মের প্রচারের জন্য ছুটে বেড়ান। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, চেষ্টা, সাধনা ও সৎ চরিত্রের সংস্পর্শে মানুষ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। তখন ব্যক্তি উদ্যোগে ইসলাম ধর্মের প্রচার ছিল। শিক্ষা ব্যবস্থা ও তখন ব্যক্তি কেন্দ্রিক ছিল।

ইসলাম ধর্ম শিক্ষার উপায় :
পবিত্র কোরআন ও হাদিস আরবী ভাষায় লিখিত। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। দেশে মোট জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ বাংলা ভাষায় কথা বলে, লিখেও বুঝে। মাত্র ২ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। তাদের ভাষায় তারা কথা বলে। তাই পবিত্র ধর্ম বুঝতে হলে নামাজা, রোজা, হজ্ব, যাকাত কায়েম করতে হলে আরবী ভাষা শিক্ষা ছাড়া কোন উপায় নাই। মুসলমানদের ফরজ ও ওয়াজিব আদায় না হলে কোন ক্রমেই প্রকৃত মুসলমান হওয়া যাবে না। তাই আমাদের দেশে গ্রামে ও শহরে আরবী তথা ইসলাম শিক্ষার জন্য মক্তব, মাদ্রাসা ও নানা ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই সকল থেকে আমাদের শিশুরা ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করে আসছে।

মুসলিম হওয়ার শর্ত কি?
যে কোন সচেতন মানুষ স্বইচ্ছায়, স্বজ্ঞানে কালিমা শাহাদাত ‘আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহ ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু’।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্য মা’বুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসুল।
পাঠ করেন, বিশ্বাস করেন এবং নিজ জীবনে আমলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তিনি মুসলিম।
একজন ব্যক্তি যখন মুসলিম হল, তখন তার উপর ইসলামের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফলসহ সকল আদেশ নিষেধ পালনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইসলামের এই সকল বিষয় জানার জন্য তাই সকল মুসলমানকে শুদ্ধভাবে পবিত্র কোরআন পাঠ শিক্ষা ও অর্থ বুঝা জরুরী। আমরা বাংলা ভাষাভাষীগণ কোরআন পাঠ করতে পারি, কিন্তু অর্থ বুঝি না। তাই নামাজসহ অন্যান্য স্থানে পবিত্র কালাম পাঠের অর্থ বুঝি না। তাই তাহা হৃদয়ে স্থান পায় না। আমাদের মধ্যে তাই উহার আমলও খুবই কম।

দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ইসলাম:
আমাদের দেশে আমরা জন্মগতভাবে মুসলমান। পরিবার থেকে ইসলাম শিক্ষা। যে সকল পরিবারে ইসলামের চর্চা নেই, তাদের ধর্ম পালনে আগ্রহ তেমন দেখা যায় না। অনেকে ধর্ম বিরোধী চরিত্রে রূপ লাভ করে। একান্ত মুসলমান দাবি করেন।
খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মধ্যে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও শিক্ষা দেয়ার জন্য আমাদের দেশে তেমন কোন উদ্যোগ দেয়া যায় না। কিন্তু অন্যান্য ধর্ম প্রচারে বাংলাদেশে অমুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ তৎপরতা ও অর্থ বিনিয়োগ দেয়া যায়। কিন্তু আমাদের ধর্মের শিক্ষা ইচ্ছে ‘দাওয়াতে দ্বীন’। প্রতিটি মুসলমানকে দ্বীপের এই ‘দাওয়াতের’ দায়িত্ব পালন ফরজ। এই ফরজ কাজটি আমরা খুব কম মুসলমানগণ করে থাকি।

বাংলাদেশের একমাত্র মুসলিমক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘পাঙাল’:
বাংলাদেশের একমাত্র মুসলিম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘পাঙাল’ স¤প্রদায়। ধর্মীয়ভাবে তারা মুসলিম কিন্তু জাতিসত্তার বিচারে মণিপুরি। তাদের জীবনযাপন মূলধারার বাঙালিদের চেয়ে ভিন্ন। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল ও প্রচÐ পরিশ্রমী। পাঙালরা তাদের ধর্মীয়, ভাষিক ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করে চলছে। তাদের অধিকাংশের বসবাস সিলেট মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায়।
বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন কর্তৃক ২০১৯ সালের শুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১০ হাজার ৯৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৬৩৮ জন ও মহিলা ৫ হাজার ৩০৯ জন। নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য আজো বজায় রেখেছেন তারা। রয়েছে পঞ্চায়েত-ব্যবস্থাও। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মণিপুরিদের সঙ্গে তাদের মিল রয়েছে। পাঙালদের ঘরবাড়ি, পোশাক-পরিচ্ছেদ, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা স্বতন্ত্র এবং বৈচিত্র্যে ভরপুর। এই সমাজে ভিক্ষুক নেই। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা থাকে সব সময়ই। অধিকাংশ পাঙাল কৃষিকাজে নিয়োজিত এবং মহিলারা তাঁতে কাপড় বুনে টাকা উপার্জন করেন।

ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ও বংশ পরম্পরায় পোশাক পরিচ্ছদেও বেশ লক্ষণীয় পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। পুরুষরা বাঙালিদের মতো শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি পরিধান করেন। মহিলারা নিজস্ব তাঁতে তৈরি কাপড় এবং অবিবাহিত মেয়েরা বিভিন্ন রং ও কারুকাজ-সংবলিত ‘ফানেক’ (কোমর পর্যন্ত প্যাচানো কাপড়) পরে থাকেন। বিবাহিত মহিলারা বুক পর্যন্ত প্যাচানো ভিন্ন রঙ ও ডিজাইন করা ফানেক পরে থাকেন। কোমরে ছোট কাপড় ‘খোয়াংনাম্ফি প্যাচানো থাকে।

পাঙালদের ঐতিহ্যবাহী বাড়ি বিশেষ কারুকাজ বৈশিষ্ট্য ও নিপুণ কারিগরের এক শৈল্পিক সৃষ্টি। এই ঐতিহ্যবাহী বাড়ি আজ অনেকটা অতীত ও বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। কালের সাক্ষী হিসেবে কয়েকটি বাড়ি সংরক্ষিত রয়েছে। তাদের স্বাক্ষরতার হার প্রায় শতভাগ। তবে উচ্চ শিক্ষার হার অপ্রতুল। পাঙাল স¤প্রদায়ের পুরুষের প্রধান পেশা কৃষিকাজ এবং মহিলাদের বস্ত্র বুনন। মহিলারা নিজের পরনের কাপড় ও ঐতিহ্যবাহী চাঁদর নিজস্ব কোমর তাঁতে বোনেন। কৃষি কাজ ছাড়াও তারা বাঁশ ও বেত দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কৃষি সরঞ্জাম ও আসবাব তৈরিতে দক্ষ। মেয়েরা কৃষিকাজে পুরুষের সমান পারদর্শী। এছাড়া তাঁতে কাপড় বোনা এবং সূচিকর্মে মেয়েদের অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। মণিপুরীদের পরিধেয় ফানেক বা চাকসাবির ওপর পাঙাল মেয়েদের সুই-সুতার সূক্ষ্ম কারুকাজ দেখে বিস্মিত হতে হয়।

সরকারি চাকরিতে অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। বেসরকারি চাকরি, ব্যবসা ও প্রবাসীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন অনেকে। নারীদের পোশাকে রয়েছে বৈচিত্র্য। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নারীদের নৃত্য, গান সবাইকে মুগ্ধ করে। পাঙাল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যকে বলে থাবল চোংবা । সাধারণত কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে কিংবা বিশেষ কোনো উৎসবে যুবক-যুবতিরা আলাদাভাবে এই নৃত্য পরিবেশন করে থাকে।

ঈদ পাঙালদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। ঈদের দিনে গোত্র বংশ নির্বিশেষে সব শ্রেণির পাঙাল এক কাতারে সমবেত হয় এই বিশেষ দিনটিকে উদযাপন করার জন্য। ঈদের দিনে মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে দলবেঁধে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যায়।

পাঙাল স¤প্রদায়ের বিবাহরীতি বাঙালি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। বিয়ের সময় মুসলিম রীতিতে আকদ হয়। অন্যান্য আচার অনুষ্ঠান হয় পাঙাল রীতিতে। বিয়ের আগের দিন রাতভর বর ও কনের বাড়িতে আলাদাভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে রাতভর চলে ঐতিহ্যবাহী পাঙাল গান। যুবক-যুবতিসহ বিবাহিত লোকজনও গানের উৎসবে মেতে ওঠে। এর সাথে যুক্ত হয় ‘থাবালচোংবা’ (পাঙাল নৃত্য)। বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে বরের পরনে থাকত ধুতি। সে সময় হাতি ও পালকির প্রচলনও ছিল, তবে আজ তা বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।

বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি সাজ্জাদুল হক স্বপন বলেন, আমাদের পাঙাল স¤প্রদায়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বাস করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি থাকলেও কোনো একাডেমি না থাকায় সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা ব্যাহত হচ্ছে এবং সভা সেমিনার আয়োজনেও অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

আলেম সমাজের ভূমিকা :
আমাদের আলেম সমাজ নিয়মিত ‘দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তা বেশির ভাগ মুসলিম সমাজের মধ্যে। আলেম সমাজ ইসলামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মসজিদ এলাকায় ইসলামি জলসায়, টিভি, ফেইসবুক, ইউটিউব, লেখনির মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত, প্রচার করে যাচ্ছেন। কিন্তু এই দাওয়াত নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নিকট পৌছছে না।
উপরে ‘পাঙাল’ সম্প্রদায়ের মুসলমানদের জীবন, কর্ম, সাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক-আলোচনা করা হয়েছেন। কিন্তু এই সকল সম্প্রদায় ইসলামের মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাই ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ও ব্যাপক ধারণা না থাকার কারণে সমাজ, ব্যক্তি জীবনে তার প্রভাব নাই বলে উল্লেখ করেছেন।
আমাদের আলেম সমাজ, তথা সকল মুসলিম সমাজকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামের প্রচার, চর্চা ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এটি ইসলামের মূল শিক্ষা। এইটি ‘দাওয়াতে দ্বীনের’ মূল দায়িত্ব।

Abul Quasem Haider
আবুল কাসেম হায়দার

সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।

লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments