100 years of Chinese Communist Party

শতবর্ষে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি

বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, “সবাইকে মুখবন্ধ হয়ে এমন একটি অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন গড়ে তুলতে হবে যেটি অধিকতর উন্মুক্ত, ইনক্লুসিভ, অংশীদারিত্বমূলক, ভারসাম্যপূর্ণ এবং উইন-উইন।” এই কথাগুলো তিনি বিগত ৬ জুলাই ’২১ বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্যা পিপলে চীনের কমিউকনিষ্ট পার্টির শতবর্ষ পালনের উপলক্ষে বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলোর এক শীর্ষ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলেছেন।


শিং জিনপিংয়ের এ বক্তব্য আমাদের চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির নীতি সম্পর্কে একটি ধারণা পরিষ্কার করে দিয়েছে। আমাদের উচিত হবে এ পার্টি এবং চীনকে ভালো করে জানা ও বোঝা।

ইতিহাস থেকে:
১৯২১ সালে সাংহাইতে কচীনের কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা। তখন পার্র্টির সদস্য সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য। এখন ২০২১ সাল। চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি। আজ শতবর্ষ পালন করছে। এ পার্টি এখন বিশ্বের সর্ব বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বলা হয়। বর্তমানে পার্টির সদস্য সংখ্যা ৯ কোটির কিছু বেশী। যে কেউ ইচ্ছা করলে এ দলের সদস্য হতে পারে না। সদস্য পদপ্রার্থীর প্রমাণ করতে হয় তারা দেশ প্রেমিক, সৎ কর্মনিষ্ঠ এর পার্টির আদর্শের প্রতি খুবই অনুগত। যে কোনো সময় যারা পার্টির প্রাথমিক সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে মাত্র ২০ শতাংশ সদস্যপদ লাভ করেন। পার্টিতে যোগদাদনের পর তাকে প্রমাণ করতে হয় যে একজন নিষ্ঠাবান কমিউনিষ্ঠ। যে কোনো পদঙ্খলনের জন্য তাকে সদস্যপদ হারাতে হয় অথবা অন্য কোনো শাস্তি ভোগ করতে হয়। এ পার্টির সদস্য সব সময় নিজ এলাকায় কাজ করবেন এমন নয়। তাকে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালনের জন্য পাঠানো হতে পারে। চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বহু গ্রাম আছে, যেখানে মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করে। চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির একটি লক্ষ্য ছিল শতবর্ষে চীনে কোনো দরিদ্র মানুষ থাাকবে না। পার্টি তার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যকে তাার নিজ এলাকা থেকে কয়েকশ মাইল দূরে গিয়ে দুর্গম এলাকার মধ্যে কাজ করতে হয়। এ কাজ করতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পার্টির সদস্যকে বছরের ১১ মাসই নিজ পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। এ জন্য তারা দুঃখবোধ করে না। বরং তারা মনে করে একটি মহৎ কাজ করছে। কাজের সাফল্য তারা নিজ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কষ্ট ভুলে যায়। এ রকম একটি পার্টির শিকড় জনগণের মধ্যে প্রোথিত থাকে।

চীনের বিশ্ব নীতিঃ
উক্ত সম্মেলনে সমগ্র বিশ্বের ১৬০টি দেশের পাঁচ শতাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক রয়েছে। এ দলগুলো শাসক হতে পারে এবং বিরোধী দল ও হতে পারে। চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি একান্ত দুুর্বলতা পোষণ করে না। ফলে চীন কোনো দেশের জনগণের মনে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ দেয় না। এই নীতি চীনের আন্তর্জাতিক কূটনীতিকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।


চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান। পদের বিচারে তিনি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাবান নেতা। বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ ক্ষমতাবান নেতাদের সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন শি জিনপিং। এ ভাষণে শি জিনপিং ওয়াদা করেছেন, চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি একটি প্রধান দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে মানব জাতির কল্যণে ব্রতী থাকবে। তিনি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে বেইজিং থেকে তার বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেছেন, ২০১২ সালের পর চীনের গ্রাামাঞ্চলের ৯৮ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্যেরত বৃত্ত থেকে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি মুক্ত করেছে। তিনি আরও বলেন, তার পার্টি দারিদ্র্যের সমস্যা সমাধানের অভিজ্ঞতা অন্য দেশের ভাগ করে নিতে প্রস্তুত। এই প্রসঙ্গে বলা প্রয়োজন, চীনের শিংগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক চীনের একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেন, চীন অন্য কোনো দেশে উন্নয়ন রপ্তানি করতে চায় না, অথবা কোন দেশ থেকে উন্নয়নের মডেল আমদানি করতে চায় না। শি জিনপিং ও বলেছেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশ আধুনিকায়নের পথে যে প্রচেষ্টা চালায় সেটি তার জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। প্রতিটি দেশের উন্নয়ন প্রয়াসকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তিনি বলেছেন, “আধুনিকায়নের পথে চলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট মডেল নেই। যে পথ দেশটির জন্য লাগসই, সেই পথেই ভালো কাজ দেয়। জুতার সঙ্গে মিল খাটাতে গিয়ে পা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়।”


প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি বাস্তবতাার সঙ্গে যুক্ত হয়ে চলতে সব সময় চেষ্টা করেছে। চীনের জনগণ চীনের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সমাজতন্ত্রের পথ ধরে এগিয়ে চলেছে। ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও প্রমাণ করবে এটাই হলো সঠিক পথ এবং বাস্তবায়নযোগ্য। এই পথ নিশ্চিত পথ এবং ফলপ্রসূ। দেখা যাচ্ছে সিংগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যা বলেছেন, তার সঙ্গে শি জিনপিংয়ের চিন্তাধারার কোনো বিরোধ নেই।


৬ জুলাই ’২১ চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি এবং বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে শি জিনপিং এর আহবান হচ্ছে, মানবকল্যাণে কোনো দেশকে পেছনে ফেলে রাখা উচিত হবে না। দুনিয়ার সব দেশ ও জাতির উন্নত হওয়ার জন্য সমভাবে সব সুযোগ গ্রহণ করার অধিকার আছে। প্রেসিডেন্ট শি এ সম্মেলনে সবও রাজনৈতিক দলকে এমন একটি আদর্শে উজ্জীবিত হওয়োর আহবান জানিয়েছেন, যাকে ভিত্তি করে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি বিশ্ব সম্প্রদায় সৃষ্টি হয়। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, শতববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট শির মুখে যেসব বক্তব্য উচ্চারিত হয়েছে। তার মধ্যে লক্ষ্য হিসাবে খুব কম সংখ্যক বার সরাসরি সমাজতন্ত্রের কথা ঘোষিত হয়েছে। সম্ভবত বিদ্যমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে সমাজতন্ত্রের নামে গোঁড়ামি করাকে তিনি যুক্তিযুক্ত মনে করেননি। তবে অংশীদারিত্বমূলক বিশ্ব সম্প্রদায় কার্যত সমাজতন্ত্রই হবে। কল্যাণের ওপর অংশীদারিত্ব রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তর্গত সব জনগণ ও জাতিগোষ্ঠী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভোগ করলে সেটি সমাজতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা হতে পারে না। এই ক্ষেত্রে ধর্মকে মৌলিক বিষয় মনে ও বিশ্বাস করলে ইসলামে এই ধরনের ব্যবস্থাার কথা বলা হয়েছে। বিশ্ব পরিসরে এমন কতগুলো বিষয় আছে। যেমন বিশ্ববাসীর অভিন্ন সম্পদ, যার সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য সবার অংশীদারিত্ব অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মতো সমস্যা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমাধান ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই। এই অংশীদারিত্ব ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও সম্প্রদায়কে অতিক্রম করে যাবে।

গণতন্ত্র সম্পর্কে:
গণতন্ত্র সম্পর্কে শির বক্তব্য হলো, এটি সব জনগোষ্ঠীর অধিকার। গণতন্ত্র মুষ্টিমেয় কিছু লোকের বিশেষ সুবিধা ভোগ করা হতে পারে না। গণতন্ত্র অর্জনের জন্য অনেক পথ খোলা আছে। সুনির্দিষ্ট একটি পথ ধরে গণতন্ত্র হতে পারে না। কোনো দেশ গণতান্ত্রিক কিনা তা বিচারের ভার সেই দেশের জনগণের ওপর ন্যাস্ত করা উচিত। কোনোক্রমেই এ দায়িত্ব মুষ্টিমেয় কিছু লোকের ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় না।
কল্যাণের পথে চলার অনেক পথ রয়েছে। সব দেশেরই অধিকার আছে কি করে নিজস্ব উন্নয়নের পথ সৃষ্টি করা যায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক মডেল গড়ে তোলা যায়। ইতোপূর্বে সিংগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মন্তব্য করেছেন, উন্নত ধনী দেশগুলোর সঙ্গে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর গণতন্ত্রের জন্য প্রক্রিয়ার ওপর বেশী গুরুত্ব দেয়। শেষ পর্যন্ত এর ফল কী হলো, তারা সেটি বিচার-বিশ্লেষণ করতে চায় না। গণ চীন প্রক্রিয়ার তুলনায় ফলাফলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে।

কোভিড-১৯ প্রসঙ্গে:
প্রেসিডেন্ট শি বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলোকে কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে রাজনীতিকরণ পরিহার করার আহবান জানান। কোভিড-১৯ ভাইরাসটির ওপর ভৌগোলিক লেবেল এঁটে দেওয়ারও বিরোধীতা করেছেন। তিনি মনে করেন, ‘চলমাান কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রয়োজন হলো বিজ্ঞানভিত্তিক অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করা এবং এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় যে পার্থক্য বিদ্যমান, তা অপসারণের জন্য সহযোগিতার পথে অগ্রসর হওয়া।” প্রেসিডেন্টি শি আশ্বস্ত করেছেন যে, “চীন কখনো আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ অথবা প্রভাবিত অঞ্চল গড়ে তোলার পথে হাঁটবে না। চীন উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গেই থাকবে।” তিনি বহুমূখিতার আড়ালে একমূখিতার চর্চার বিরোধিতা করারও আহবান জানান। তিনি আরও ববলেন, আমাদের উচিত হবে আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতিকে বিরোধিতা করা।

চীন মার্কিন সম্পর্ক প্রসঙ্গ:
শি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তে বাধার তুলনায় বিশ্বায়ন অধিকতর গতিশীল হয়েছে। বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগীতার প্রবণতা অটুট আছে এবং এই ধারা পরিবর্তিত হবে না। চীনের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা ধরনের অর্থনেতিক প্রতিবন্ধকতা আরোপ এবং আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোনো কোনো দেশের ওপর অবরোধ জারি হওয়ার দলে অনেকেই মনে করেছেন, বিশ্বায়নের ধারা নিশ্চল হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছেন। কার্ল মার্কসও অনেক আগেই লিখেছিলেন, পুঁজিবাদ বিশ্বায়ন সৃষ্টি করবে। দেখা যাবে, কখনো এ ব্যবস্থা বিশ্বায়ন ত্বরান্বিত করতে চাইছে, আবার কখনো দেখা যাবে এ ব্যবস্থা বিশ্বায়নের পথ রুদ্ধ করতে চাইছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি:
ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, প্রতিটি সভ্যতারই উঠতি পড়তি আছে। ইতিহাসবিদ ঝঢ়বহমষবৎ সভ্যতার উঠতি পড়তিকে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ মুহূর্তে পৃথিবীর এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তি এবং সামরিক শক্তিও বটে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। আমরা লক্ষ্য করছিÑঅর্থনীতি, সামরিক শক্তি ও প্রযুক্তির দিক থেকে চীনও খুব দ্রুত উন্নতি অর্জন করছে। এ রকম হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ চীন এমন এক সময় আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে, যখন তার পক্ষে বিশ্বের প্রযুক্তির শেলফ থেকে অনেক সুবিধা গ্রহণ সম্ভব। যে কারণেই বলা হয়, উন্নয়নের পথে যেসব দেশ পরে যোগ দেয়, সেসব দেশ আগের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় দ্রুততরভাবে উন্নত হতে সক্ষম হয়। এ বাস্তবতাগুলো মাথায় রেখে বাংলাদেশকে তার বৈদেশিক নীতি ও কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।

Abul Quasem Haider
আবুল কাসেম হায়দার

সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।

লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments