dr serajul islam choudhury

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
চিন্তা জগতে আলোকবর্তিকা

ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আমার অতি প্রিয় আদর্শ শিক্ষক্। ২০০৩ সালে আমরা যখন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি চালু করলাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী Focally selection committee গঠন করা হয়। তাতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইংরেজী বিভাগের উক্ত কমিটিতে আমাদের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করা হয়। ২০০৩ সাল থেকে অদ্যাবধি ইংরেজী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিরাজুল ইসলাম চৌদুরী বিশেষ অবদান রেখে আসছেন। এমনিভাবে চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী একজন মার্কসবাদী চিন্তা চেতনায় উদ্বুদ্ধ একজন লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক। জন্ম ২৩ জুন ১৯৩৬ সাল, শ্রীনগর উপজেলা। লক্ষ্মীবাজার, ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড নটরড্রাম কলেজ থেকে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে যুক্তরাজ্যের লীডস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৮ সারে পিএইচডি অর্জন করেন। তাঁর স্ত্রী ড. নাজমা জেসমনি চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও লেখিকা ছিলেন। অনেক বছর পূর্বে তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করেন।সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী একজন মুক্ত চিন্তার মানুষ। বাম রাজনীতির একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। আজীবন বাম রাজনীতিকে তিনি জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছেন, লালন করেছেন। জীবনে শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে জীবনকে কাটিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা নিয়ে তার ভাবনা ছিল সব সময়।

তিনি ছিলেন একজন সফল সাহিত্য সমালোচক। শুধু সাহিত্য সমালোচনা ছাড়াও তিনি রাজনীতি, সংস্কৃতি, লৈঙ্গিক সমতা ত্রাণ ও পরিবেশ, রাষ্ট্র চিন্তা, ভাষা, সমাজ এবং সৃষ্টিশীলতা-সব পরিসরে তিনি সমানভাবে বিচরণ করেছেন। তবু আর সব পরিচয় ছাপিয়ে, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মূল পরিচয় হয়ে উঠেছে একজন বামপন্থী বুদ্ধিজীবীর-যিনি সমাজ, সাহিত্য ও জীবনকে দেখেছেন এবং বুঝেছেন মার্কসবাদী তত্ত্বের আলোকে। তবে তার লেখাপড়া তাকে যতখানি বস্তুবাদী বলে মনে হয়, ঠিক ততখানিই মানবতাবাদী বলেও মনে হয়।

শিক্ষা, সংস্কৃতি নিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জীবনের বেশী সময় কাাটিয়েছেন। এই নিয়ে তাঁর প্রবন্ধে সংস্কৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন- “সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের বিজয় পতাকা, প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রবৃত্তির ওপর মানুষের চিহ্ন। কিন্তু কেবল চিহ্ন বরলে কিছুই বলা হয় না। কেননা সংস্কৃতি সব সময়েই অত্যন্ত জীবন্ত ও পরিব্যাপ্ত। অনেকটা পানির মতো, সহজ কিন্তু শক্তিশালী, থাকলে বোঝা যায় না, না থাকলে প্রাণ সংশয় দেখা দেয়। তাই বলা যায় যে, সংস্কৃতি শিক্ষার চেয়েও ব্যাপ্ত ও জরুরী। সংস্কৃতির স্তর দেখে মানুষের জানা যায়। এ ও জানা আমাদের যে, মানুষের সংস্কৃতি আছে, পশুর নেই। শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ, পৃষ্ঠা-২১৯)

শিক্ষা আর শিক্ষকতা নিয়ে জীবনের প্রায় পুরো সময় তিনি কাটিয়েছেন। “হৃদয়ের শিক্ষা চাই” প্রবন্ধে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন- “দেশের স্বাধীনতার জন্য যে অসামান্য মূল্য দিতে হয়েছে তার প্রকৃত অর্থ খুঁজব কোথায়? খুঁজতে যদি হয় তবে খুঁজতে হবে স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে নতুন জীবনের পথে অগ্রসর হবার যে সম্ভাবনার মধ্যে। অগ্রসর হওয়ার পথে অন্তরায় আছে অনেক, দুষ্কর, অন্তরায় আছে দারিদ্র্য ও শোষণে, কিন্তু তার চেয়েও নিকটবর্তী অন্তরায় বোধ করি যথার্থ শিক্ষার অভাব।”

সমাজে সৎ মানুষের খুবই অভাব। সৎ চরিত্র সম্পন্ন মানুষ যেন দিন দিন কমে আসছে। সততা আমাদের সমাজ থেকে ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। তাই সমাজও যেন সভ্য হতে পারছে না। ঠিক এমনি এক সমাজে আমাদের প্রিয় লেখক সিরাজুল ইসলাম চৌদুরী উচু মাথায় স্বচরিত্রে বিচরণ করছেন। সততা, সৎ ব্যবহার, সৎ চিন্তা ও সুন্দর জীবনের আশায় বাম রাজনৈতিক ধ্যান ধারণায় নিজকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। একটি অসৎ সমাজে একজন সৎ মানুষের বর্তিকা আমাদের সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সমাজের কোন কালিমা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। অবিচার, অন্যায়, অনিয়ম থেকে দূরে থেকে সমাজকে গড়ার জন্য প্রতি নিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাঙালী ও জাতীয়তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তার লেখা বাঙালীর খোঁজে, বাঙালীকে বাঁচাবে, দ্বিজাতিতত্ত্বের সত্য মিথ্যা বিষয়গুলোকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ‘দ্বি-জাতিতত্তে¡র সত্যমিথ্যা’ প্রবন্ধে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছেন-
“ইতিহাসটা খুব স্বচ্ছ। একদিন মনে করা হয়েছিল পাকিস্তান হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। পরে মনে করা হয়েছিল পাকিস্তানটা ছিল ভুল, আমরা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি, এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না, আমরা মুক্তি পাব।

কিন্তু পেয়েছি কি? কেউ বলবেন না যে, পেয়েছি। বরঞ্চ বলা যাবে দ্বি-জাতিতত্তে¡র সীমাংসা হয়নি। দুটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবেই আমরা বড় হয়ে উঠেছি-ধনী ও দরিদ্র। এককালে ছিল হিন্দু বনাম মুসলমান, পরে এল বাঙালী বনাম মুসলমান। এখন এসেছে ধনী বনাম দরিদ্র। সমস্যার শেষ নেই।”

রাজনীতি বিষয়ে গভীর মনস্তাত্তি¡ক মতামত, ভাষা, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনায় তিনি অন্যতম। ভদ্রতা, সামাজিকতা, মধ্যবিত্ত সংস্কৃতি, গ্রাম্যতা, ঋণ বিষয়গুলোতে নিজের বিজ্ঞ মতামত দিয়েছেন। আমাদের বাইশ বছরের প্রবন্ধ সাহিত্যের গতি-প্রকৃতিকেও আলোচনা থেকে বাদ দেননি। তার লিখিত প্রবন্ধে তার ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাভাবনার একটা সরল ও অসাধারণ পরিচয় পাওয়া যায়।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অন্যতম। সহজ, সরল, প্রচার বিমুখ, দেশপ্রেমিক সাচ্ছা চরিত্রের অধিকারী তিনি। ক্ষমতা, প্রভাব, অর্থ সম্পদের প্রতি লোভহীন ব্যক্তি সমাজে বিরল। তিনি একমাত্র লোভ, ক্ষমতা, অর্থ-বিত্তকে উপেক্ষা করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। চিন্তা-চেতনায় স্বাধীনচেতা মানুষ তিনি। নিজে যা জানেন, বুঝেন, বিশ্বাস করেন, তা অকপটে বলে যাচ্ছেন, লিখে যাচ্ছেন।

যতবার আমি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্ত্রিতা শোনেছি, ততবারই একই জিনিস দেখেছি। শ্রোতাকে মুগ্ধ করে বাহবা অর্জনের প্রয়াস আমার চোখে পড়েনি। পুঁজিবাদের এই নব্য উদারতাবাদী স্তরে, নিজেকে ফেরি করার প্রচেষ্টায়, নিজের দিকে ক্যামেরার ফোকাস ঘোরানোর প্রচেস্টায় কেউ কেউ যখন প্রাণান্তকর চেস্টা করে যাচ্ছে, তখন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তৃতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে গলাবাজ হলেই র‍্যাডিকেল হওয়া যায় না। বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট, কী লিখছি এবং সে লেখা শেষ পর্যন্ত গোটা অন্যান্য ব্যবস্থার শিকড়কে চিহ্নিত করতে পারছে কেনা, সেই বিষয়ও একজন বুদ্ধিজীবীর জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি কোনো রকম দ্বিধা বা ভণিতা ছাড়াই বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ করে যাচ্ছেন। উপরে উল্লিখিত কথা হলো ‘মানুষের পক্ষের বুদ্ধিজীবী প্রবন্ধের লেখক সরকার হাসান আল জায়েদ লিখেছেন। (সূত্র প্রথম আলো ২৩ জুন ২০২৩)।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখে চলেছেন। নিয়মিত পত্রপত্রিকায় এই প্রকাশিত হচ্ছে। তার প্রথম প্রবন্ধের বই “অন্বেষা” প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। লেখক জীবনের সূত্রপাত ছোট গল্পের ভেতর দিয়ে। দুই গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাসও লিখেছেন দুটি। কিশোর উপন্যাস একটি। তিনি বলেছেন কথা সাহিত্যিক হওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে কবিতা যে লিখব সেটার ক্ষমতাও আমার নেই। প্রফেসার এমিরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রকাশিত কয়েকটি গ্রন্থের তালিকা পাঠকের সুবিধার জন্য উল্লেখ করা হলোঃ প্রবন্ধ গবেষণাঃ অন্বেষণা (১৯৬৪), দ্বিতীয় ভুবন (১৯৭৩), আমার পিতার মুখ (১৯৭৬), বঙ্কিম চন্দ্রের জমিদার ও কৃষক (১৯৭৬), বেকনের মৌমাছিরা (১৯৭৮), বাঙালীকে কে বাঁচাবে (১৯৮৩), টলস্টয় অনেক প্রসঙ্গের কয়েকটি (১৯৮৫), গণতন্ত্রের পক্ষ-বিপক্ষ (১৯৮৭), লেলিন কেন জরুরী (১৯৯২), শেক্সপীয়রের মেয়েরা (১৯৯৯) প্রভৃতি।

ছোটগল্প : ভালো মানুষের জগৎ (১৯৯৩)
উপন্যাস : শেষ নেই (২০০৪), কণার অনিশ্চিত যাত্রা (২০০৫)
অনুবাদ : এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব (১৯৭২) ইবনেসনের বুনো হাঁস (১৯৬৫), হাউসম্যানের কাব্যের অভাব (১৯৬৫), হোমারের ওডেসি (১৯৯০)
ইংরেজি গ্রন্থ : Introducing Nazrul Islam (1965), The world Imagination of Joseph Conrad (1974), The Enemy Territory (1976)
সম্পাদনা : ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত ২০০৩ থেকে।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী একজন বড় মাপের বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী। লেখক, সমালোচক এবং একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে তিনি সর্ব মহলে প্রশংসিত। তার কৃত কর্মের জন্য বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছেন। রাষ্ট্র ও তাকে একজন গুণি ব্যক্তি হিসেবে একুশে পদক (১৯৯৬), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৬) প্রদান করেছে। এ ছাড়াও দেশের নানা সংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে পুরস্কৃত ও সম্মানিত করেছেন।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর শিক্ষা ভাবনা ভিন্নতর। নতুনত্ব রয়েছে এই ভাবনার মধ্যে। শিক্ষার ব্যাপারে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন বুদ্ধির পাশাপাশি হৃদয়ের অনুশীলনের ওপর। বুদ্ধির এক পেশে বিকাশ স্বার্থবুদ্ধিতে পরিণত হতে পারে, সে জন্য হৃদয়কেও শিক্ষিত করে তোলা চাই। বুদ্ধি ও হৃদয়ের বিকাশ একত্র, পাশাপাশি ঘটবে, তবে হৃদয়কেই বরং অগ্রাধিকার দিতে হবে, এটাই রয়েছে তার চিন্তার কেন্দ্রে। কিন্তু এমনটা ঘটার পথে অন্তরায় রয়েছে। প্রধান অন্তরায় সৃষ্টি করে রাষ্ট্র ও সমাজ। আমরা যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বসবাস করছি সেটির প্রবণতা পুঁজিবাদের দিকে। পুঁজিবাদ শিক্ষা দেয় মুনাফাপ্রসু, আত্মকেন্দ্রিক এবং পরিবেশ, প্রকৃতি ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে। এই শিক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো দরকার।
শিক্ষা সম্পর্কে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর চিন্তা অত্যন্ত উদার, সহজ, সরল ও প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন প্রবন্ধে তিনি শিক্ষাকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষা সম্পর্কে শিক্ষায় জাতীয়তাবাদের কর্তৃত্ব প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন-
“শিক্ষা আসলে শ্রেণী গঠনেরই সাহায্য করেছে, যদিও অনেকেই আশা করেছিলেন যে, শিক্ষা যেহেতু উদারতা সৃষ্টি করে তাই শ্রেণী, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের ভেদ অতিক্রম করতে শিখিয়ে জাতি গঠনের দায়িত্ব নেবে।” “বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে এখন আমরা কি চাই? চাই পূর্ন মানুষ, যে মানুষের সঙ্গে মনভরা জিজ্ঞাসা, হৃদয় ভরা ভালোবাসা। যে-মানুষ দেশের দারিদ্র্যকে ঘৃণা করবে, যে নিজেকে তো বটেই নিজের সমাজকেও রোগমুক্ত সৌন্দর্যে গরীয়ান করবার জন্য নিরন্তন পরিশ্রম করবে।”

কিন্তু আজ শিক্ষা কোথায়? আমরা কি শিখছি? তখন এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যেন ভালো চাকুরী করতে পারি। অনুগত দাস হতে পারি। চরিত্র হনন যেন আমাদের শিক্ষার মূলমন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম চৌধুুরী সেই শিক্ষা চাননি।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দু’কন্যা সন্তান রয়েছে। তাঁর পিতা হচ্ছেন হাফিজ উদ্দিন চৌধুরী, মাতার নাম হচ্ছে আসিয়া খাতুন।

লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বই সংখ্যা প্রায় শতাধিক। তিনি বিগত বিশ বছরের অধিক ত্রৈমাসিক পত্রিকা নতুন দিগন্ত সম্পাদনা করে আসছেন। নতুন দিগন্তের মাধ্যমে তিনি সংস্কৃতি, সাহিত্য ও চিন্তা জগতে আশার আলো ছড়িয়েছেন, কিন্তু বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারেননি।

Abul Quasem Haider
আবুল কাসেম হায়দার

সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।

লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments