“The people of the country did all these things, staying in government, we just gave policy support to create the scope, It’s a historic moment and a moment of pride for the nation.”
– Sheikh Hasina, The Honourable Prime Minister of Bangladesh
উপরের কথাগুলো বিগত ২৭শে ফেব্রুয়ারি’২১ এক সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চ‚ড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে বাংলাদেশ।
আগামি ২৬শে মার্চ’২১ আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্ততীতে আমাদের সকলের নিরন্তর পরিশ্রম এবং পরিকল্পনার ফসল হচ্ছে আজকের অর্জন। এ উত্তরণই হচ্ছে ঐতিহাসিক এবং আমাদের সকলের অতি গর্বের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করেছি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ অর্জন দেশের নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেন।
বিগত ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি’২১ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলডিসি স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে বালাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সূচক পর্যালোচনা করা হয়। বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের সব ধরনের সূচকের অগ্রগতি হয়েছে।
মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকের ভিত্তিতে জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডই খুব ভালোভাবে পূরণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ত্রিবার্ষিক সফলতার সঙ্গে পূরণের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
জাতিসংঘের পর্যালোচনায় ২০১৯ সালে মাথাপিছু আয়ের মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ১ হাজার ২২২ মার্কিন ডলার। ঐ বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার। আর বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় হচ্ছে ২ হাজার ৬৪ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬ এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫ দশমিক ৪ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদণ্ড ছিল ৩২ বা তার কম। কিন্তু ঐ সময় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭।
আমাদের সম্ভাবনা
এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হবে। গরিব দেশের তকমা আর আমাদের রইলো না। তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কেউ আমাদের হেয় করতে পারবে না।
অর্থনৈতিক সক্ষমতার কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঋনদাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বেশি সুদে অনেক বেশি ঋন নেয়ার সক্ষমতা বাড়বে। বেশি ঋন নিতে পারলে অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে আরও বেশি জয় করতে পারবে বাংলাদেশ। অন্য দিকে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা মোকাবেলায় যথেষ্ট সক্ষমতা থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ ও বেশি বেশি আকৃষ্ট করতে পারবে। তখন বাংলাদেশ ব্যান্ডিং হলো। ক্রেডিট রেটিংয়ে এগিয়ে যাবে।
বিদেশে সার্বভৌম বন্ড ছাড়তে পারবো। সবচেয়ে বড় কথা হলো স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের জন্য বড় স্বীকৃতি মিলেছে। আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া গেল। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। সাবাস বাংলাদেশ। সাবাস বাংলাদেশের জনগণ!
আমাদের চ্যালেঞ্জসমূহ
যেমন আনন্দের তেমন বড় বড় চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে আমাদের আগামি কয়েকটি বছর অগ্রসর হতে হবে। এলডিসি উত্তরণে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, বিশ্ব বাণিজ্যে আমরা বেশকিছু সুবিধা যা পাচ্ছি, তা বন্ধ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় মেধাস্বত্বের জন্য আমাদেরকে অর্থ দিতে হবে না। এটিও থাকবে না। তৃতীয়ত, আইন কানুনে বেশকিছু শৃঙ্খলা আনতে হবে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও প্রনোদনা দেয়ার সুযোগ কমে আসবে। সামগ্রিকভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। এই জন্য অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এই আলোকে সাজাতে হবে। আগামি ৫ বছর আমাদের প্রস্তুতিকাল হিসাবে ধরে অগ্রসর হতে হবে।
যেমন বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধাও হ্রাস পাবে। বিশেষ করে বাণিজ্য সুবিধা অনেক কমবে। আর এই অবস্থা উত্তরণের জন্য অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানসমূহের ভিত্তি মজবুত করতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ২০২৬ সাল খুব বেশি দূরে নয়। ফলে সকলকে দ্রুত কাজ করতে হবে।
এলডিসি উত্তরণের পর সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে দেশের রপ্তানি খাত। গরীব দেশ হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার আওতায় শূল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আঞ্চলিক বা দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতেও এ ধরনের শূল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে।
বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী ২০২৬ সালে এই সকল সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের উপর শুল্ক বসবে। এই শুল্কের ফলে দেশের রপ্তানি আয় ৮-১০ শতাংশ কমতে পারে। অর্থাৎ বছরে রপ্তানি ৫৩৭ কোটি ডলার বা সাড়ে ৪৫ হাজার ডলার হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে বড় চ্যালেঞ্জ আসবে আমাদের ঔষধ শিল্প খাতে। ঔষধ শিল্পে মেধাস্বত্ব আইনের কড়াকড়ি হবে। তখন মেধাস্বত্বের উপর অর্থ দিতে হয় না। তখন অর্থ দিতে হবে। তাতে উৎপাদন খরচ বাড়বে। দ্বিতীয়ত দেশের ৯৭ শতাংশ কাচা মাল শুল্কমুক্ত বিদেশ থেকে আমদানি করে, তখন শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে না।
একই সমস্যায় পড়বে দেশের উদীয়মান আইটি খাত। বর্তমানে এই খাতে মেধাস্বত্বের উপর কোন অর্থ দিতে হয় না। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সেইসব দেশগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেশি হল ধরে নেওয়া হয়। তখন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা থেকে সহজ শর্তে ঋন পাওয়া কমে যাবে। তখন দেশে আইটি খাতের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। সরকার সেবা খাতে নগদ সহায়তা দিচ্ছেন। তখন সেবা খাতেও তা দেয়া যাবে না। ভর্তুকিও বন্ধ করতে হবে।
বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আয়ে সরকার সহায়তা দিবেন। ভবিষ্যতে না করা যাবে না। অন্যদিকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের চাঁদার হার বৃদ্ধি পাবে। দেশের ব্যয় বাড়বে। স্বল্পোন্নত দেশের কর্মকর্তা জাতিসংঘের বিভিন্ন সভায় যোগ দেওয়ার জন্য বিমান টিকেট বিনামূল্যে পান। ভবিষ্যতে তাও বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণত গরীব দেশের কর্মকর্তা হিসাবে এই টিকিট দেয়া হয়। তখন আমরা গরিব থাকবো না। তাই বিনামূল্যে টিকিটও পাবো না। দেশের সার্বিক ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
২০২৬ সালের পর ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির পরিমাণও কমে যাবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে থাকে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে পেয়ে এসেছি। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এই সকল বৃত্তি পেয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। সমাজে তারা সহজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে বিদেশে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।
কিভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো
১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এই তালিকা অন্তর্ভুক্ত হয়। দীর্ঘ ৫০ বছর আমাদের দৈন্য-দশায় সময় কেটেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামি ৫ বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে। সাধারণত সিডিপির চ‚ড়ান্ত স্বীকৃতি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া হবে।
১) সার্বিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য তখন থেকে সুপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। অর্থনীতি নানা ভাগে বিভক্ত করে দেশে শিল্পায়নে মনোযোগী হতে হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। প্রতিষ্ঠানসমূহের দক্ষতা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। সর্বক্ষেত্রে গবেষণা বৃদ্ধি ও গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ অনেক বাড়াতে হবে। গবেষণার কোন বিকল্প নাই।
২) আগামি ২০২৬ সাল পর্যন্ত আমরা এঝচ-চষঁং সুবিধা পাবো। ঐ বছর পর এই সুবিধা আর থাকবে না। ২৭তম আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রমিকের অধিকার, মানবাধিকার, জলবায়ুজনিত নিরাপত্তা এবং সুশাসন কায়েম ও বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামি পাঁচ বছর উল্লিখিত বিষয়সমূহকে নিশ্চিত করা সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। এইজন্য সরকার অনেক বেশি সহনশীল, গণতান্ত্রিক ও উদার হতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য করে সাজাতে হবে। যেন তেনভাবে যে কোন নির্বাচন আমাদের জন্য সামনের দিনগুলোতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আসবে। নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, সবার অধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সাজাতে হবে।
৩) আগামি বছরগুলোতে ডঞঙ থেকে নানা রকমের সুবিধা নেয়ার জন্য দক্ষতার সঙ্গে দর কষকষির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ইওগঝঞঊঈ এর মত সংগঠনগুলোতে বাংলাদেশকে আরও বলিষ্ঠ রাখার চেষ্টা করতে হবে। অঝঊঅঘ থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য ঙনংবনব সবসনবৎ হওয়া খুবই প্রয়োজন।
আমাদের রপ্তানি পণ্যের নানা চাহিদা বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আরও নতুন নতুন পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
নতুন নতুন রপ্তানি বাজার তৈরির চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে চীন, জাপান, ভারতের বাজারে বিপুল সংখ্যক পণ্য নিয়ে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।
৪) স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীলে পদার্পনের ফলে বাংলাদেশকে উচ্চ সুদে ঋন গ্রহণ করতে হবে এবং কম সময়ে ঋন শোধের তাগিদ সামনে আসবে। সেই প্রস্তুতি তখন থেকে নিতে হবে। Asian Infrustucture Investment Bank (AIIB) সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ব্যাপক থেকে ঋন নেয়ার বেশি বেশি উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। ঘবি New Development Bank (NDB) এক অংশীদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ চেষ্টা করছে। উক্ত ব্যাংকের সদস্য হওয়ার জন্য ব্যয় বেশি হলেও তা হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।
পাঁচ. বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে তার বাণিজ্যিক সহযোগী সঙ্গে Negotiation করে যেতে হবে। ব্যবসায়িক সুবিধা লাভের জন্য। স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণের পরও আমাদেরকে সবসময় বাণিজ্যিক সুবিধা লাভের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামি ৫ বছর চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশকে Economic Diplomacy এ অধিক বেশি শক্তিশালী হতে হবে। আজ বিশ্বে এই শক্তি বলে বাণিজ্যিক সুবিধা উন্নয়নশীল দেশসমূহ নিয়মিত পেয়ে আসছে।
শেষে : বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে অনেক বিগত ৫০ বছর ধরে আমরা আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছি। ২০১৯ সালে করোনাকালীন বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে আমরা অনেক পরিশ্রমী, শক্তিশালী, মেধাবী। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অর্থনীতি অনেক ভালো। ২০২০ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের অধিক অর্জনের মাধ্যমে আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ আবারও দিতে আমরা সক্ষম।
আগামি কয়েক বছর আমাদের এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। এই অর্জনকে সুসংহত, শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের এই সাফল্যের অংশীদার জনগণকে দিতে হবে। এই উন্নতি জনগণের জন্য নিবেদিত হতে হবে। জনগণকে নিয়ে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে যাবে- এই আমাদের আশা।
২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হতে হলে আমাদের প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও সরকারি মেগা প্রকল্পের ব্যবহার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবহারকে নিশ্চিত করার জন্য সুশাসন ও জনগণের সব ধরনের অধিকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক চর্চার ও মানুষের মানবিক অধিকারকে ন্যায্যভাবে মূল্যায়ণ খুবই প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্য অর্জনে সরকার সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও তরুণ প্রজন্ম ন্যায় ভিত্তিক, সুসম সমাজ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
আবুল কাসেম হায়দার
সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।
লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।