আফসার নিজাম
পৃথিবীর ইতিহাসে সৃজনশীল ও মননশীল মানুষের জন্ম খুবই কম হয়ে থাকে। কারণ পৃথিবীকে সুন্দর ও স্বপ্নময় করে পরিচালনার চিন্তা সকল মানুষ করে না। কিছু মানুষ তার চিন্তার সিংহভাগ সময় ব্যয় করে মানুষের কল্যাণ চিন্তায়। আর মানুষ তাদের জীবন জীবিকা নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। তাদের এই সুখের জীবনকে শান্তিময় করতেই সৃজনশীল ও মনশীল মানুষ সারাজীবন অতিবাহিত করে। আর এই চিন্তা নিয়ে কিছু মানুষ বাস্তবে জীবনে প্রতিফলন ঘটায়। এখানে সৃজনশীল মানুষ তার প্রতিফলন দেখে না যেতে পারলেও কোনো এক সময় এসে তার প্রতিফল অবশ্য ঘটে। তা আমাদের জানার মধ্যে থাকুক আর নাই থাকুক।
সুন্দর চিন্তা ও সমাজ গঠনের জন্য বতমান সময়ে যে কজন মানুষ সৃজনশীল ও মননশীল মানুষ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে তাদের মধ্যে আবুল কাসেম হায়দার একজন। আজ আমরা তাঁকে জানবো।
জন্ম
সন্দ্বীপের বিশিষ্ট দানবীর, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকমরহুম মৌলভী সেকান্দর হোসেন ও মরহুমা সাফিয়া খাতুন এরসন্তান লেখক চিন্তাশীল আবুল কাসেম হায়দায়র চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার উত্তর মগধরা গ্রামে ১৯৫৪ সালের ১ এপ্রিল জন্মগ্রহন করেন। শিশুকাল থেকেই তিনি ছিলেন খুবই তীক্ষ্ণবুদ্ধির ছেলে। সবার সাথে ভাব জমিয়ে তুলেতে পারতেন। খেলার সাথিদের সাথেও তার একটি প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা চলত। যাতে তিনি সবার মনোযোগ আকষণ করে নিজের অবস্থানকে পোক্ত করে তুলতেন। নিজের নেতৃত্বে তুলে নিতে লেখার দায়িত্ব। এভাবেই তিনি এক সময় দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ, ব্যাবসায়ী নেতা ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
শিক্ষা
আবুল কাসেম হায়দার ছোটকাল থেকেই মেধাবী ছাত্র হিশেবে এলাকা ও স্কুলে তার অবস্থান জানান দিতে থাকেন। তাঁর প্রখর মেধার কথা সেই সময় পুরো সন্দ্বীপে সমাদৃত হয়। এরই স্বাক্ষর হিশেবে এসএসসিতে তিনি ৫টি লেটার সহ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার সাউথ সন্দ্বীপ হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে উত্তিণ হন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ৩ বিষয়ে লেটার সহ এইচএসসি পাশ করেন। এরপর তিনি স্বপ্ন দেখেন উচ্চাশিক্ষার স্বপ্নভূমি ঢাকা বিশ^বিদ্যায়ে পড়া লেখার। নিজের সম্পূণ যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখনে আর বিশ^বিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে ভতি হন এবং একই বিভাগে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। একাডেমি শিক্ষার শেষ ধাপ হিশেবে তিনি পিএইডি অর্জন করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন। অতপর আমেরিকার এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এন্ট্রিপ্রেনারশিপ ডেভলপমেন্ট বিষয়ের উপর ২০০৮ সালেপিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। আবুল কাসেম হায়দার হয়ে উঠেন ডক্টর আবুল কাসেম হায়দার।
শিক্ষকতা
বাংলাদেশের মেধাবীদের অন্যতম ব্রত হয় নিজের জ্ঞানকে অন্যের মাঝে সঞ্চারিত করা। ডক্টর আবুল কাসেম হায়দার হায়দার তাদের থেকে ব্যাতিক্রম নয়। নিজের শিক্ষা ও জ্ঞানকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য শুরু করে শিক্ষতা। তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসন বিভাগে বিভিন্ন ব্যাংক ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউটে গেস্ট লেকচারার হিশাবে লেকচার দিয়ে থাকেন।
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড
যার চিন্তা ও চেতনায় সবসময় থাকে জাতির মননের উৎকর্ষ সাধনের চিন্তা। তাই তিনি বিভিন্ন মিডিয়ায় শুরু করেন ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয় অনুষ্ঠানে আলোচনা। সে সময় তিনি বিটিভি, এনটিভি, চ্যানেল আই ও এটিএন বাংলা প্রভৃতি সহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ।
তিনি ১৯৯১ সাল থেকে বিটিভিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যতম আলোচক হিসাবে অংশগ্রহণ করেন এবং অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেন
ফুলকুঁড়ি, আবাবিল,পুবের হাওয়া সহ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিশেবে সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা ও অগ্রগতিকে তরান্বিত করেন
ব্যবসা
ব্যবসাকে তিনি নিজের ও দেশের কল্যাণের জন্য অন্যতম দেশপ্রেম মূলক কাজ হিশেবে গ্রহণ করেছন। কারণ দেশ স্বনির্ভও হলে, দেশের তরুন সমাজ কর্মতৎপরতার সাথে যুক্ত হলে দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি ব্যবসায় যেমন সফল তেমনি ব্যবসায়িক সংগঠনেও তিনি সফলভাবে তাঁর নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। তিনি ২০০৩-২০০৫ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতির নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে বিজিএমইএ এরও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮-২০০২ সালে তিনি বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এরসাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইয়ুথ গ্রুপ, যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এই গ্রুপে যেসব প্রতিষ্ঠান হলো: চৌধুরী এ্যাপারেল (প্রাঃ) লিঃ, ইয়ুথ স্পিনিং মিলস লিঃ, ইয়ূথ প্রপাটিজ লি:, ইয়ূথ রিয়েল ষ্টেট লি:, ইয়ূথ হেচারী এন্ড এগ্রো লি:, ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিঃ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল,গুলশান, ঢাকা।
উপরোক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে করতেই তিনি দায়িত্ব পালন করো আরো প্রতিষ্ঠানে। ২০০৫-২০১৪ সালে তিনি এসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিস অব বাংলাদেশ ভাইস চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৮-২০০২ তেও তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হিশেবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় তিনি প্রেসিডেন্টদায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ সুইং থ্রেড ম্যানুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিএসটিএমইএ)। ২০০৩-২০০০৭ সালে পরিচালক হিশেবে দায়িত্ব পালন করেন বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিঃ এর।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য হিশেবেও দায়িত্ব পালন করেন: নির্বাচিত সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (২০০৩-২০০৬), সার্ক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (২০০৩-২০০৫), রিভিউ প্যানেল, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিকাল ইউনিট (সিপিটিইউ), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার (২০০৪-২০০৮), এ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ অব কোয়ালিটি গ্রুপ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার(২০০৪ – ২০০৮)
তিনি সভাপতি হিশেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ করোগেটেড কার্টুন এন্ড এক্সেসরিজ ম্যানুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিসিসিএএমইএ)(১৯৯৬-১৯৯৮) ও সন্দ্বীপ সমিতি, ঢাকা (২০০৩-২০০৪) এর।
উপদেষ্টা হিশেবে বিভিন্ন সংগঠনেরও তিনি উপদেশ প্রদান করে থাকেন, চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা (২০০৪-২০০৮) এবং সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম লি.ঢাকা।
তিনি যেমন সফল ব্যবসায়ী তেমনি প্রথিতযষা লেখকও বটে। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি সম্পাদনায় তার সফল তার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। তিনি ‘দৈনিক আজকের আওয়াজ’ ও ‘সাপ্তাহিক প্যানোরমা’ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আবুল কাসেম হায়দার নিজের অর্জনকে সবার মাঝে বিলিয়ে দেয়ার জন্য ‘আবুল কাসেম হায়দার ট্রাষ্ট’ গঠনের সর্বাত্বক চেষ্টা করে চলছেন এই প্রতিষ্ঠানের তিনি দায়িত্ব পালন করছেন চেয়ারম্যান এন্ড ট্রাষ্টি হিশেবে।
প্রকাশক
‘লেখালেখি’ নামে একটি সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা আবুল কাসেম হায়দার গঠন করেছেন ২০০৮ সালে।বিগত বছরগুলোতে বাংলা একাডেমী বই মেলায় অংশ গ্রহণসহ দু’শতাধিক বই প্রকাশনা নিয়ে দেশের সৃজনশীল সাহিত্য বিকাশে অবদান রাখছেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকজন লেখক যেমন নির্মলেন্দু গুণ, আলমাহমুদ, রাহাতখান,এমাজউদ্দীন আহমদ, কবীর চৌধুরী, সেলিনা হোসেন, বিপ্রদাস বড়–য়া আলী ইমাম,আসাদ চৌধুরী, সৈয়দ আবুল মকসুদ, নাসরীন জাহান ,মঞ্জু সরকারসহ অনেক সৃজনশীল লেখকের লেখা বই লেখালেখি, সৃজনশীল প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
লেখালেখি সাহিত্য পুরস্কার চালু:
প্রতিষ্ঠিত লেখকদের তাদের সৃজনশীল ও মননশীল কাজের স্বীকৃতি এবং সহযোগিতার জন্য আবুল কাসেম হায়দার প্রতি বছর দেশের একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিককে ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং একটি ক্রেষ্ট প্রদানের মাধ্যমে লেখালেখি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩ সাল থেকে চালু রয়েছে।
আজীবন সদস্য
তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেকে জড়িত করে সমাজ ও সংস্কৃতির কার্যক্রমকে সহযোগিতা করে চলেছেন। সেই সব প্রতিষ্ঠানে তিনি আজীবন সদস্য। তার একটি তালিকা প্রদান করা হলো, ১. রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, ৩. চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা, ৪. বাংলা একাডেমীঢাকা, ৫. সন্দ্বীপ সমিতি,ঢাকা, ৬. সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটি, চট্টগ্রাম, ৭. ধানমন্ডি রিক্রেয়েশন ক্লাব, ৮. বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইট, ৯. এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, ১০. নজরুল ইনস্টিটিউট, ১১. ইডাপস, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি, ১২. মৃত্তিকা বিজ্ঞান ট্রাস্ট, ঢাবি, ১৩.সিএনসি (সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার), ১৪. গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ এন্ড ঈদগা সোসাইটি, ঢাকা।, ১৫. নিকেতন সোসাইটি, গুলশান,ঢাকা।
সমাজসেবা
আবুল কাসেম হায়দার তার উত্থান পর্ব থেকেই সমাজসেবা মূলক কাজ করে চলছেন। এই কাজের অংশ হিশেবে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন: ১. আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ, সন্দ্বীপ, হারামিয়াচট্টগ্রাম ২. সেকান্দর সাফিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সন্দ্বীপ,উত্তর মগধরাচট্টগ্রাম ৩. উত্তর মগধরা বায়তুল আমান জামে মসজিদ, সন্দ্বীপ, উত্তর মগধরাচট্টগ্রাম ৪. পুর্ব হারামিয়া গোলাম মোস্তফা প্রাথমিক বিদ্যালয় সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম ৫. আবুল কাসেম হায়দার এবতেদায়ী মাদ্রাসা, মুছাপুর, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম ৬. আবুল কাসেম হায়দার ভোকেশনাল, জুনিয়র হাই স্কুল ও পলিটেকনিক্যাল কলেজ (প্রস্তাবিত),মগধরা ,সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম ৭. আবুল কাসেম হায়দার নুরানী মাদ্রাসা, দীর্ঘাপাড়, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। ৮. কালাপানিয়া মক্তব (প্রস্তাবিত) সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম ৯. মাইট ভাংগা পাঠাগার (প্রস্তাবিত) সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। ১০. কাছিয়াপাড় জান্নাতুল ফেরদৌস জামে মসজিদ (প্রস্তাবিত) সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম ১১. সওদাগরহাট আবুল কাসেম হায়দার জামে মসজিদ, সারিকাইত, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম ১২. বায়তুননূর আবুল কাসেম হায়দার জামে মসজিদ, মাইটভাংগা, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।
সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় চেয়ারম্যান হিশেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন ‘সেকান্দর সাফিয়া ফাউন্ডেশন’। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিশেবে দায়িত্ব পালন করেন ১. সন্দ্বীপ পাবলিক হাই স্কুল ২. সাউথ সন্দ্বীপ কলেজ ও ৩. রহমতপুর হাই স্কুল এর।
আবুল কাসেম হায়দারের অন্যতম সমাজ সেবা মূলক কাজের একটি শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা। এ জন্য তিনি বিগত ১৮ বৎসর যাবৎ ইয়ুথ ফাউন্ডেশন এবং সেকান্দর সাফিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৩টি কলেজ, ২৮টি হাই স্কুল,৬টি মাদ্রাসা ও বহু ছাত্র ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদানকরে আসছেন। এবং আবুল কাসেম হায়দার শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি: এক লক্ষ টাকা করে ফিক্সড ডিপোজিট এর লভ্যাংশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামবিশ্ববিদ্যালয় এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অনার্স এ সবচেয়ে ভাল ফলাফল অর্জনকারী একজন শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দেয়া হয়। এ ছাড়াও দক্ষিণ সন্দ্বীপ কলেজ, উত্তর সন্দ্বীপ কলেজ পাবলিক হাইস্কুল ,পূর্ব সন্দ্বীপ হাই স্কুল, এ ওয়াই এম ছায়েদুল হক ফাউন্ডেশন সন্দ্বীপ, চট্টগ্রামে ১ লক্ষ টাকা মূল্যের আবুল কাসেম হায়দার শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি নামে সর্ব মোট ৮টি বৃত্তি চালু রয়েছে।সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম লি. ২ লক্ষ টাকার ছাত্র বৃত্তি চালুর প্রস্তাব।
আবুল কাসেম হায়দারপ্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা হিশেবে ‘হারামিয়া ২০ শর্ষ্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম ও ‘ইয়ুথ ফাউন্ডেশন লিভার এন্ড কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট অব ড্যাব’শাহবাগ, ঢাকা প্রতিষ্ঠা করেন
বৃত্তি
ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষে তিনি বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করে থাকেন যা, ১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে “ আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”২. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ” আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”৩.ইষ্টার্ন ইউনর্ভাসিটি,ঢাকা “আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”৪. সাউথ সন্দ্বীপ কলেজ,সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম “ আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”৫. উত্তর সন্দ্বীপ কলেজ,সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম “ আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”৬. পূর্ব সন্দ্বীপ হাই স্কুল,সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম “ আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”৭. সন্দ্বীপ পাবলিক হাইস্কুল,সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম “ আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”৮. এ.ওয়াই. এম ছায়েদুল হক ফাউন্ডেশন,সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম “ আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”৯. সন্দ্বীপডেভেলপমেন্ট ফোরাম লি. ঢাকা ( প্রস্তাবিত) “ আবুল কাসেম হায়দার’ শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি”১০. এশিয়াটিক সোসাইটি ট্রাস্ট( প্রস্তাবিত) গঠন।
লেখক
বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিকে শিল্প উৎপাদন, বিকাশ ও সমস্যা সম্পর্কে আবুল কাসেম হায়দার এরলেখা প্রকাশিত হয়। ইতোমধ্যে তার লেখা ও স¤পাদনায় ৪০টির অধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলো হচ্ছে১.বাংলাদেশের শিল্পঃ সমস্যা ও সম্ভাবনা ২.শিল্পায়ন ও উন্নয়নঃ বাংলাদেশ প্রেক্ষিত ৩. বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা উৎপাদন বিপননঃ বস্ত্রশিল্প প্রেক্ষিত ৪. শিল্পবানিজ্য ও শিল্পচিন্তা ৫. ট্রান্সশিপমেন্ট ট্রানজিট করিডোর ৬. বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসঃ নওয়াব সলীমুল্লাহ থেকে খালেদা জিয়া ৭.বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় নীতিমালা ৮. দেশনায়ক শহীদ জিয়া ৯. গ্যাস নিয়ে বিতর্কঃ বাংলাদেশ প্রেক্ষিত ১০. এশিয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১১. সন্দ্বীপের শত ব্যক্তিত্ব (সম্পাদিত) ১২. Business Administration: Import Export Manual ১৩. Investment, Management Production & Marketing: Bangladesh Perspective ১৪. সাহাবুদ্দীনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ১৫. ব্যবসা সংস্থাপনঃ আমদানী রপ্তানী ম্যানুয়েল ১৬. বাংলাদেশের শিল্পখাতঃ চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ ১৮. Readymade Garments: The First Step of Industrial Revolution in Bangladesh ২০. শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও বাংলাদেশের অবস্থান ২১. বাংলাদেশের শিল্পখাত: দুই দশকের পরিবর্তন ২২. জোট সরকারের শাসন উন্নয়ন অগ্রগতি ২৩. অর্থনীতি রাজনীতি বাংলাদেশ প্রেক্ষিত ২৪. নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৫. বাণিজ্য বিনিয়োগ দুর্নীতি, ২৬. শিক্ষা অর্থনীতি সংস্কার ২৭. এসএমই বিজেনেস ম্যানুয়েল ২৮.সমাজ শিক্ষা অর্থনীতি ২৯.স্বাধীনতার কবি শামসুর রাহমান (সম্পাদিত) ৩০.স্বপ্নের সম্ভাবনা ৩১. এভারেষ্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিম (সম্পাদিত) ৩২.গ্যাস বিদ্যুৎ বাণিজ্য ইত্যাদি। ৩৩.আগামীর বাংলাদেশ ৩৪.অর্থনৈতিক বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ ৩৫. হুমায়ূন আহমদকে যেমন দেখেছি (সম্পাদিত) ৩৬ তৈরি পোশাক শিল্প উনয়নের প্রর্তীক ৩৭.সামগ্রীক অর্থনীতি এগ্রিয়ে ৩৮.রুপকল্প -২০২১ ৩৯. রুপকল্প -২০২১ ভিশন ২০৩০ ৪০. বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ৪১. একটি নক্ষত্রের বিদায় ৪২. বাংলাদেশ এর অর্থনীতি করোনা প্রেক্ষিত ৪৩. মনীষী ভাবনা।
পুরষ্কার
জীবনের প্রায় প্রতিটি বিষয়ে একজন সফল মানুষের কোনো পুরষ্কার প্রয়োজন হয় না। তথাপি দেশের মানুষ তাঁকে ভালোবেসে বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননায় ভূষিত করে থাকে। আবুল কাসেম হায়দাও তাদেও সম্মাননা ভালোবাসা সহকাওে গ্রহণ করেছেন। তিনি যেসকল পুরষ্কার পেয়েছে তা হলো- পালক এ্যাওয়ার্ড ১৯৯৮, বিজয় পদক ১৯৯৪, সিআইপি পদক ১৯৯৮, স্বদেশ সাং¯কৃতিক স্বর্ণপদক ১৯৯৮, সিফসা পদক ১৯৮৯, মহানগরী সাংস্কৃতিক পদক ২০০০, নন্দিনী সাহিত্য পদক ২০০০, অতীশ দীপঙ্কর পদক ২০০১, দেশনেত্রী পদক ২০০১, জিয়া স্মৃতি স্বর্ণপদক ২০০১, স্বাধীনতা ফোরাম পদক ২০০২, দেওয়ান আজরফ শান্তি পদক ২০০৩, কবি ফররুখ পদক ২০০৩, কলি সাহিত্য ও সমাজকল্যাণ সংঘ স্বাধীনতা পদক ২০০৪, নাট্যসভা পুরস্কার ২০০৫, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সম্মাননা ২০০৬, পূর্ণিমা বাসর পদক ২০০৬, টেক্সটাইল বার্তা পদক-২০১৫, সৈয়দ আলী আহসান সিএনসি পদক ২০২১।
বিদেশ ভ্রমণ
বিশ্বের বহু দেশে ব্যবসা বানিজ্য বিষয়ক বহু সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহন এবং সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিভিন্ন পারিবারিক কারণে তাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে হয়েছে। যেসকল দেশ তিনি ভ্রমণ করেছে তাহলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা, অষ্টেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, কাতার, ইরান, ইরাক, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জার্মান, চীন, কাশ্মীর, দক্ষিণ কোরিয়া,ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার,সুইজারল্যান্ড ,জর্ডান পাকিস্তান, ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশ।
ব্যক্তিজীবন
ব্যক্তিজীবনে সদা হাস্যোজ্জ্বল পরিশ্রমী ব্যবসায়ী লেখক আবুল কাসেম হায়দারের স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সুখী পরিবার। তার স্ত্রী আফরোজা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স), এমএ ডিগ্রী লাভ করেন।