All Nations are Equal

বিশ্বে সবাই সমান, সব দেশকে সমান ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে

এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট ও রাশিয়া পৃথিবীর পরাশক্তি হিসেবে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল। পৃথিবীর নানা দেশে নিজেদের স্বার্র্থে যুদ্ধ বাধিয়ে রেখে বাণিজ্য করতো। রাশিয়ার পতনের পর মার্কিন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্ব হ্রাস পেয়েছে। তবুও কিছু কিছু মত পার্থক্য , দ্বন্ধ, যুদ্ধ লেগে রয়েছে। এখন নতুন করে পৃথিবীতে বাণিজ্যিক শক্তি নিয়ে উদিত হয়েছে চীন। মার্কিনিদের এখন আতংকের বিষয় চীনের উত্থান উন্নতি। চীন পৃথিবীর নানা দেশে উন্নয়নের সহযোগী হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে চলছে। করোনা কালে জি-৭ শীর্ষ বৈঠকে চীন মার্কিন বাণিজ্যিক যুদ্ধ পরিস্কার হয়ে সকলের নিকট ধরা দিয়েছে। দলবেঁধে বিশ্ব চালানোর দিন শেষ। কয়েকটি দেশের ‘ছোট’ একটি গ্রুপ বিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণ করবে-সেই দিন এখন আর নেই। জি-৭ নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এমন মন্তব্য করেছে চীন। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত তিন দিনের জি-৭ সম্মেলনে শনিবার চীনবিরোধী ঐক্যের প্রতিক্রিয়া পরদিন লন্ডন দূতাবাস থেকেই এ বিবৃতি দিয়েছে চীন।

জি-৭ সম্মেলনের নাম উল্লেখ না করেই দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন আন্তর্জাতিক যে কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্বের গুটিকয়েক দেশ ছোটখাটো দল তৈরি করে নিয়ে ফেলত। সেদিন অনেক আগেই চলে গেছে। আমরা বিশ্বাস করি-ছোট বা বড়, শক্তিশালী বা দুর্বল, ধনী কিংবা গরিব বলে আলাদা কিছু নেই। বিশ্বে সবাই সমান। সব দেশকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।’

বেইজিংয়ের ট্রিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বিআরআইকে (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনিশিয়েটিভ) দুর্বল করতে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিথ্রিডবিøউ (বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড) নামের নতুন একটি প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছেন জি-৭ নেতারা। আনছে সাত দেশের সংগঠন জি-৭। নতুন এ প্রকল্পের আওতায় রাস্তাঘাট নির্মাণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন এগিয়ে নিতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে তহবিল দেওয়া হবে। নতুন ওই চুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কারবিস বে ডিক্লারেশন’। এরপর বৈঠকে চীনের মোকাবিলায় ‘বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড’ অর্থাৎ আরও সমৃদ্ধ, আরও উন্নত ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতারা। রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জি-৭ সম্মেলনে করোনা মোকাবিলা, প্রাকৃতিক সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোকে ইস্যু করা হলেও নেপথ্যে চীন-বিরোধিতায় ঐকমত্য তৈরি করতেই এ সম্মেলন।

নতুন এই চুক্তিকে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনিশিয়েটিভের ক্ষেত্রে বড় চপেটাঘাত হিসাবে দেখছে বেইজিং। ২০১৩ সালে চীন এই বিআরআই প্রকল্প গ্রহণ করে। লাখ লাখ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১০০টির বেশি দেশ যুক্ত হয়েছে। এই বিআরআই প্রকল্পের মধ্যে রেলওয়ে, সড়ক, বন্দর, মহাসড়ক ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো রয়েছে। বিশ্বের ধনী দেশগুলোর এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। এ ছাড়া জি-৭ গোষ্ঠীর সদস্য না হওয়া সত্তে¡ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভার্চুয়ালি নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে সম্মেলনের শেষ দিনে দরিদ্র দেশগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয় জি-৭। পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন নেতারা। প্রায় দুবছর পর সশরীরে এমন একটি সম্মেলনের ওপর জোর দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানানো হয়। জি-৭ নেতারা বলেন, ‘গণতন্ত্রের শক্তি, স্বাধীনতা, সাম্য, মানবাধিকারের প্রশ্নে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জগুলোকে অতিক্রম করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭এর শীর্ষ বৈঠকে বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধানে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে সম্মত হওয়াকেই দেশগুলোর নেতারা বড় প্রাপ্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। চলমান মহামারি মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট সমাধান এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রসার ও সুরক্ষার বিষয়গুলোতে সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় যেসব অঙ্গীকার ও পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে, তা এরই মধ্যে তীক্ষণ সমালোচনার মুখে পড়েছে।

শীর্ষ বৈঠকের পর আলাদা সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, স্বাগতিক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ দীর্ঘ বিরতির পর সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পারার বিষয়টিকেই বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকা আলোচনার টেবিলে ফিরেছে’ এবং ‘বিশ্বের গণতন্ত্রগুলোকে শক্তিশালী করাই হচ্ছে জি ৭এর কাজ।’

করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোতে আগামী এক বছরে জোটগতভাবে ১০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যে জি-৭এর নৈতিক ব্যর্থতা বলে অভিহিত করে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, এর ফলে হাজার হাজার মৃত্যু ঘটবে, যা এড়ানো সম্ভব ছিল। দরিদ্রদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা অক্সফাম বলেছে, জি-৭ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, ১ হাজার ১০০ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন। কিন্তু ১০০ কোটি ডোজ সে তুলনায় নগণ্য। এসব সমালোচনার জবাবে বরিস জনসন জোটের ভূমিকাকে ‘বিপুল অবদান’ বলে অভিহিত করলেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আরও ১০০ কোটি ডোজ দিতে পারবে, যার ঘোষণা এখনই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর ঘোষিত ৫০ কোটি ডোজ টিকা জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনাধীন কোভ্যাক্সের বাইরে এবং জি- ৭এর অন্যরা দেবে বাকি ৫০ কোটি ডোজ।

করোনার টিকার ক্ষেত্রে পেটেন্ট অব্যাহতির প্রশ্নে জি-৭ এর ঘোষণায় ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না আসাও অনেক উন্নয়নশীল দেশ এবং নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি হতাশার বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র এতে রাজি থাকলেও যুক্তরাজ্য সম্মত হয়নি। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্যই পেটেন্ট অব্যাহতি ঠিক নয় এবং আফ্রিকাসহ অন্যান্য জায়গায় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর সম্ভাবনাগুলো বিশেষভাবে যাচাই করা হচ্ছে। বেসরকারি খাতকেও সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন খরচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এই টিকায় কোনো মুনাফা নয়। পেটেন্ট অব্যাহতি দাবির পক্ষে যুক্তি হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যাদের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে, তাদের কাজে লাগানো হলে উৎপাদন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো সম্ভব এবং তার পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থাও অনেক সহজ হতো।

জি-৭ এর ঘোষণায় আছে পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের অঙ্গীকারও। তবে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা এবং ডিজেল ও পেট্রলচালিত গাড়ির প্রচলন বন্ধের সময়সূচি নির্ধারণে সমঝোতা না হওয়া এবং দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার জন্য জলবায়ু তহবিলের অর্থায়নে ঘাটতির কারণে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী জনসন দুজনেই বলেছেন, কয়লাভিত্তিক প্রকল্পে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের ঘোষণায় এই প্রথমবারের মতো সরাসরি চীনের কথা এসেছে। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’–এর বিকল্প হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে সহায়তার জন্য ‘বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড (বিথ্রিডব্লিউ)’ উদ্যোগের কথা রয়েছে এ ঘোষণায়। পরে সংবাদ সম্মেলনেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, এখন ‘স্বৈরাচারদের প্রতিযোগিতা’ শুরু হয়েছে এবং গণতন্ত্রগুলোর জন্য তাই এখন দায়িত্ব হচ্ছে এটা দেখানো যে তারাও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সক্ষম। চীনের প্রশ্নে জি–৭ একমত হওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট। জোটের ঘোষণায় দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালির পরিস্থিতির উল্লেখ করে ভারত- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং সেখানকার বাস্তুচ্যুতদের বিষয়ও জোটের ঘোষণায় রয়েছে। সামরিক শাসনের নিন্দা করে আসিয়ান জোটের গৃহীত পাঁচ দফা পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে শীর্ষ বৈঠকের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়। রোহিঙ্গাদের নাম উলে­খ না করা হলেও মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুতদের মানবিক সহায়তায় তহবিল জোগানোর জন্য এতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

স্পষ্টতই, সা¤প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় এবং গভীর একটি বৈশ্বিক সংকটের কালে ধনী দেশগুলোর প্রতি সবার প্রত্যাশা ছিল বেশি। শীর্ষ বৈঠকের ঘোষণায় সেই প্রত্যাশা পূরণে বড় ধরনের ঘাটতির কথা তুলে ধরেছেন বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময়ে বৈশ্বিক পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা দিতে বিলম্বের কারণে কোভিড–১৯-এর যে ধরন বদলাচ্ছে, তাতে করে টিকা পাওয়া পাশ্চাত্যের জনগোষ্ঠীও যে বেশি দিন নিরাপদ থাকবে না, সেই আশঙ্কাও জিইয়ে রইল। আর বৈশ্বিক রাজনৈতিক উত্তেজনা কতটা তীব্র হতে পারে, তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে চীনের প্রতিক্রিয়ায়।

যুুদ্ধ এখন অস্ত্রে হবে না। যুদ্ধ হবে পণ্য বাণিজ্যে। চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ পৃথিবীকে জানিয়ে দিয়েছে। মোড়ল গিরি এখন শুধু বড় দেশের চলবে না। সকল দেশ সকলের নিকট সম্মানের ও সমান গুরুত্বের। সকলকে সকল দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। একে অপরকে সম্মান ও মর্যদা দিতে হবে।

জি-৭ র্শীষ বৈঠকে চীন ও রাশিয়াকে জব্দ করার জন্য যে কৌশল যুক্তরাষ্ট নিয়েছে তাতে কোন কাজ হবে না। চীনের কৌশলের নিকট মার্কিনী জোট পরাজিত হবে। চীন কোন দেশের আভ্যন্তরিন রাজনীতিতে নাক গলায় না। উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে চীন অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করে। তাই চীনের সাথে পৃথিবীর কোন দেশের দ্বন্দ্ব নাই। ভবিষ্যতেও দ্বন্দ্ব হবে না। উদাহারন বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দীর্ঘ দিনের অর্থনৈতিক সহযোগীতার কৌশল পৃথিবীর জন্য শিক্ষনীয়।

Abul Quasem Haider
আবুল কাসেম হায়দার

সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।

লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments