Image Source : https://www.orfonline.org/expert-speak/leveraging-brics-in-times-of-economic-uncertainty
একতা বড় শক্তি। মানুষ সব সময় সমাজবদ্ধ ভাবে জীবন যাপন করে। এক, দুই, তিন এইভাবে শতভাগে পরিণত হয়। পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রই চেষ্টা করে নিজকে এগিয়ে নিতে। এই এগিয়ে নেয়ার বড় শক্তি হচ্ছে সততা, নিষ্ঠা ও দেশের প্রতি প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা অফুরন্ত সাধনা। পৃথিবীতে শক্তি ও এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতিসংঘ। তাছাড়া এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের জোট। পৃথিবী অর্থনীতিকে সচ্ছল ও উন্নতিতে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নানা রকমের অর্থনৈতিক জোট ও প্রতিষ্ঠান। ঠিক তেমনি একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোট হচ্ছে ব্রিকস।
দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কামাল মুজেরী ব্রিকস সম্পর্কে বলেন- ব্রিকস একটি নতুন উদ্যোগ, এখনো এটি কয়েকটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বর্তমানে বৈশ্বিক যে আর্থিক ব্যবস্থা আছে, তার মধ্যে ব্রিকসকে বিকল্প একটি ব্যবস্থা হিসেবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু এ কাজটা দুরূহ। কেননা, প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও ব্রিকসের দেশগুলো এখনো একটি বড় ও শক্তিশালী গ্রুপ হিসেবে আবির্র্ভূত হতে পারেনি। আমাদের প্রয়োজনের খুব কম অংশই ব্রিকস মেটাতে পারবে। কাজেই ব্রিকস থেকে আমরা কী চাই, কতটা চাই, সেটা খুব গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করতে হবে। ব্রিকসে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে বার্তাটা কী যাচ্ছে, সেটা বিবেচনা করতে হবে। এখানে মূল প্রশ্নটি হলো বিদ্যমান যে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা আছে, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আমরা ব্রিকসে যোগ দিচ্ছি, নাকি পরিপূরক হিসেবে যোগ দিচ্ছি। প্রতিযোগিতার মানসিকতা নিয়ে ব্রিকসে যুক্ত হলে সেটা ভুল হবে
অন্যদিকে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন বাংলাদেশ কেন ব্রিকসে যোগ দিতে চাইছে, তা নিয়ে আমাদের ভালো করে বোঝার বিষয় আছে। একটা দিক হলো, এই মুহূর্তে বৈশ্বিক ব্যবস্থার সংস্কার দরকার, এ ব্যাপারে সবাই একমত। যুক্তরাষ্ট্রের কারণে অনেক বহু পক্ষীয় ব্যবস্থা কার্যকর নেই। স্বল্পোন্নত ও তুলনামূলকভাবে কম উন্নত দেশগুলোর আর্থসামাজিক ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত অধিকার আদায়ের জন্যও এটা খুব প্রয়োজনীয়। আবার একই সঙ্গে দক্ষিণীয় জোটবদ্ধতার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ভূমিকা বাড়ানোর চেষ্টার অংশও হতে পারে বাংলাদেশের এই আগ্রহ।
কিন্তু মনে রাখতে হবে, ব্রিকসে যেসব দেশ রয়েছে, তাদের অভিলাস অনেক বড়। তাই এটা পুল ফ্যাক্টর থেকেও হতে পারে, যে তারা বাংলাদেশকে চায়। আবার এটা পুশ ফ্যাক্টর থেকেও হতে পারে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ পাশ্চাত্যের বড় দেশগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থানে আছে। সে কারণে আরও কিছু বড় দেশের সংহতি লাভের জন্যও বাংলাদেশ সেখানে যেতে পারে। আমরা লক্ষ্য করছি, নির্বাচন তথা মানবাধিকারকে কেন্দ্র করে অনেক বড় দেশ বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের তিরস্কারমূলক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ্য করছি। এই প্রতিক্রিয়া দিয়েও ব্রিকসে যোগ দেওয়ার বর্তমান সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে। অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন জোটটির নেতারা। সেখানে নতুন সদস্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। বেশ কিছুদিন ধরেই ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। গত ১৪ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশ শিগগিরই ব্রিকসের সদস্য পদ পেতে পারে। জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি (ব্রিকসের সদস্যপদ) উত্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে ব্রিকসের নেতৃত্বে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিকসে যোগ দিতে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানানোর কথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয়েছে।
এ জোটের সদস্য হলে তাদের ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) থেকে বিশেষ আর্থিক সুবিধাসহ বৈদেশিক সম্পর্কের বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিকসে যোগ দেওয়ার সুবিধা সম্পর্কে বলা হচ্ছে – এটা বাংলাদেশের অর্থায়নের আরেকটি ক্ষেত্র হবে। এ জোটে যোগ দিলে জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গভীর হবে। এরই মধ্যে এই জোটের ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবরে এ ব্যাংক বিকল্প মুদ্রা চালু করতে পারে। তখন বাংরাদেশও এর সুবিধা পাবে। এ ছাড়া ব্রিকসের সদস্য হলে বাংলাদেশ এ জোটের ব্যাংক থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়াসহ এ সংক্রান্ত একাধিক ইস্যুতে নিজেদের মতামত উপস্থাপন করতে পারবে।
ব্রিকসে যোগ দিলে কি সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্রিকসে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ কী সুবিধা পাবে তা নির্ভর করছে, যোগদানের পর আমাদের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন কিছু ঘটার ওপর। যেমন – চীন ও ভারত দুটি বড় বাজার। ব্রাজিলও বড়। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হওয়ায় চীন ও ভারতে কিছু সুবিধা পেয়ে থাকে। যদিও এ সুবিধা খুব বেশি নয়। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এলডিসিভিত্তিক যে সুবিধা আছে সেগুরো উঠে যাবে। তখন সেই জায়গায় তারা যদি বলে, তোমরা ব্রিকসের সদস্য, তাই এলডিসির অনুরূপ সুবিধা পাবে, সুবিধা বলতে এটাই।
অর্থনীতিবদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্রিকস কোনো অর্থনৈতিক জোট নয়। এটা মূলত রাজনৈতিক ফোরাম। এ ফোরামে ভূ রাজনীতিই বেশি প্রাধান্য পায়। অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নয়। সে জন্য এ জোটে যোগ দিলে আমাদের অর্থনৈতিক কোনো সুবিধা হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ব্রিকসের সদস্য হলে তাদের ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ থেকে আমরা তুলনামূলকভাবে সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারি। তবে এসবই জল্পনা কল্পনা। কিন্তু ব্রিকসে যোগ দিলে এ জোটের রাজনৈতিক পাল্লা ভারী হবে। কিন্তু নতুন কোনো বাণিজ্যিক চুক্তি বা বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগদানের সিদ্ধান্তকে সংশ্লিষ্টরা ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। ব্রিকসের পরবর্তী সম্মেলন আগস্টে হতে পারে। সেখানে মার্কিন ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো মুদ্রায় লেনদেন করা যায় কি না, তার সিদ্ধান্ত হতে পারে। বাংলাদেশ বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতকে (রিজার্ভ) বৈচিত্র্যপূর্ণ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিকসের অনেকেই জি-২০-এর সদস্য। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক যে ঋণ দিচ্ছে তা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা, সুশাসন আছে কিনা, তা সামনে আসবে। ব্রিকস উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট হলেও গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা রক্ষা এসব থেকে দূরে থাকতে পারবে তা নয়। ব্রিকসে এগুলো মানতে হবে।
ব্রিকস কী?
ব্রিকস হচ্ছে পাঁচ দেশের একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট। মূলত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা সদস্য এই পাঁচ দেশের আদ্যক্ষর অনুযায়ী ব্রিকসের নামকরণ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে ব্রিকসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কেবল বাংলাদেশ নয়, সব মিলিয়ে ২০টি দেশ ব্রিকস জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু দেশ আনুষ্ঠানিকভাবেই আবেদন জানিয়ে রেখেছে। গত এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পানডোর জানিয়েছিলেন, মোট ১২টি দেশ তখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইরান, মিশর, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, নাইজেরিয়া ইত্যাদি। ২০টি দেশ সদস্য হতে চাইলেও আলজেরিয়া ও সৌদি আরবের আগ্রহই আন্তর্জাতিক মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। এই দুই দেশ তেল উৎপাদন করে। ধারণা করা হচ্ছে, তেলের উৎপাদন ও দর নির্ধারণে ব্রিকসের মধ্যে থেকে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশের আগ্রহ নতুন নয়
বাংলাদেশ অবশ্য কয়েক বছর আগে থেকেই ব্রিকসের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্রিকস ব্রাংকের সদস্য হয়। এই ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক নাম দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি), যা ব্রিকস সদস্যরা প্রতিষ্ঠা করেছিল ২০১৫ সালে। মূলত ২০২০ সালের শেষের দিকে এনডিবির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের নতুন সদস্য নেয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল। কয়েক দফা আলোচনার পর এনডিবি নতুন সদস্য হিসেবে তিনটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে। সেই তিন দেশ ছিল বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উরুগুয়ে।
৫ হাজার কোটি ডলার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এনডিবি। তবে এখন তাদের অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ সদস্য হতে ১ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। আর এখন পর্যন্ত এই ব্যাংক ৮০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে, এতে অর্থায়নের পরিমাণ ৩ হাজার কোটি ডলার।
আন্তর্জাতিকভাবে বলা হয়ে থাকে, বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ জানাতেই দ্য নিউ ডেভেরপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বড় ধরনের সংস্কারের পক্ষে। ফলে নতুন দলে দেশ ব্রিকস জোটে ঢুকলে বিশ্বব্যাংক আইএমএফের সংস্কারের দাবি আরো জোরালো হবে। ব্রিকস জোটে মাত্র পাঁচটি দেশ থাকলেও বিশ্ব অর্থনীতিতে তাদের অবস্থান বেশ শক্ত। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বাস করে এই পাঁচ দেশে। বৈশ্বিক জিডিপির মোট দেশজ উৎপাদন) সাড়ে ৩১ শতাংশ ব্রিকসের দখলে।
আমাদের সুবিধা:
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। দুর্বল দেশ সমূহ এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প সুদে, দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতে ঋণ নিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেছে। করোনা ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ অনেক দেশ আইএমএফ থেকে দীর্ঘ মেয়াদি, স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে জাতীয় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টায়রত।
মূলত ব্রিকস একটি অর্থনৈতিক জোট। কিন্তু কেউ কেউ এইটিকে একটি রাজনৈতিক রূপে দেখতে পাচ্ছে। মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্রিকস একটি রাজনৈতিক জোট অনেকে মনে করেন। কিন্তু এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ভারত ও রয়েছে। তা হলে কিভাবে ব্রিকস যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক জোট হলো। প্রকৃত অর্থে ব্রিকস একটি কৌশলগত বৃহৎ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট।
অন্যদিকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে ভারত, চীন সরাসরি রাশিয়াকে সমর্থন ও সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। এই ধারা আমাদেরকে অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ ও সর্ববৃহৎ রফতানিকারী দেশ। আমাদের একমাত্র বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী খাত তৈরী পোশাক শিল্পের বাজার যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি বাজার হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ সমূহ।
একদিন ব্রিকস বৃহৎ অর্থনৈতিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তাই অর্থনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য আমাদেরকে এই জোটে থাকা জরুরী। রাজনৈতিক বিষয় সমূহ আমরা ব্রিকসের ক্ষেত্রে পরিহার করবো অথবা নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেস্টা করবো। আমাদের পর রাষ্ট্রনীতির মূল কৌশলকে এই ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।
‘নিউ ডেভেল্যাপমেন্ট ব্যাংক’ থেকে সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে, দীর্ঘ মেয়াদীতে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিকসের সদস্য হওয়া জরুরী। তবে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক সুবিধা ও আমরা ব্রিকসের মাধ্যমে লাভ করতে পারি।
আবুল কাসেম হায়দার
সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।
লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
good!!!