Bangladesh Rickshaw Driver during Coronavirus Pandemic

করোনা কালেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেপথ্যে মূল কারণ ছিল প্রধানত দুটি অর্থনৈতিক যুক্তি এবং রাজনৈতিক মুক্তি, দুটি কারণই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এখনই সময় মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করার। বিশেষ করে সম্মান নিয়ে বাচার অধিকার। ইংরেজ কবি John Donne বহু পূর্বে লিখেছিলেন :

Each mans death diminishes me, For I am involved in mankind, Therefore, send not to know, for whom the bell tolls, It tolls fro thee.

John Donne

কাউকে সমাজে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না, সবার জন্য একদিন শেষ পরিণতির দিন আসবে। ইদার্নীং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বেশ গতি এসেছে কিন্তু সেটি সীমিত কয়েকটি ক্ষেত্রে। তৈরী পোশাক রফতানী, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, সামষ্টিক এসব সুচকের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে সামষ্টিক সুচকের প্রতিফলন ঘটছে না মানুষের জীবনযাত্রার উপর বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য। খাদ্য দ্রব্য বিভিন্ন সেবা এবং আনুষঙ্গিক অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক সাধারণ মানুষের আয় নেই, অনেকের আয় কমে গিয়েছে, এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি অসহনীয় হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সময়টা বড় দুঃসময় বটে। করোনা মহামারী জনমনে ভীতি তৈরি করেছে। তা অর্থনীতিতেও বেশ প্রভাব পড়েছে। আমরা করোনা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এরপরও আমরা কিছু শুভ সংবাদে সুখ পাচ্ছি, আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।


কঠিন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ চলেছে। কোভিড-১৯ কারণে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক দুর্যোগে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। গত কযেকদিন ধরে পত্রিকার নানা খবরে মনটা ভরে যাচ্ছে। খবরের পাতায় ভেসে আসছে- “মহামারীর ও মাসেও রেমিটেন্স বেড়েছে ৪৩ শতাংশ, এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ, তৈরি পোশাক শিল্পে আশার আলো, ‘রেমিটেন্স রিজার্ভের মতো রাজস্ব আয় আদায়ও বিস্ময়’, করোনা দুঃসময়েও মেগা প্রকল্প থেমে নেই্ করোনার কারণে এই দুর্যোগের মধ্যে এমন সব সংবাদ আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।


করোনা সঙ্কটেও দেশের এমন অগ্রগতি কি কারণে? যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারসহ বিশ্বের সকল উন্নত দেশের অর্থনীতি দিশেহারা, গতিহীন, পথহারা যেন পথিক। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কিছু কঠিন, সুন্দর, সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত অর্থনীতিকে বাজে প্রভাব থেকে মুক্ত রেখেছে বাংলাদেশকে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্তে কল কারখানা ইতিবাচক ফরও এটা। সকল মহল থেকে বার বার বলা হচ্ছিল যেন দেশ পূর্ণ লকডাউনে যায়। সরকারের ইচ্ছায় লক ডাউনে ছিল শিথিলতা। সকলে বলছিলাম তৈরি পোশাকসহ সকল কারখানা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথা। দেশে পরিবহন চালু না করার কথাও বলা হয়েছিল। ভতিকর পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব যখন লকডাউনে, তখন আমাদের দেশের তৈরি পোশাক র্শিপ কলকারখানা, পরিবহন সব কিছু চালু করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সুফল এখন আমরা পাচ্ছি। ১৯৭১ সালে এদেশের মানুষ বাঁশ, লাঠি হাতে নিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে অসীম সাহসে। ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে দেশে মানুষ যেমন থেমে ছিল না, যার যার কাজ করছে, প্রবাসীরাও হাত পা ঘুটিয়ে না থেকে থাকার কারণে আজ রেমিটেন্স, রিজার্ভ, রাজস্ব আদায় বাড়ছে। দুঃসময়ে তৈরি পোশাক শিল্প আমাদেরকে আশার আলো দেখাচ্ছে। আমদানীকারক গণ আমাদের দেশ থেকে তৈরি পোশাক নেয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সাহসিকতা, সব পরিস্থিতিতে কাজ করার ইচ্ছা শক্তি আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে, এগিয়ে নেবে পুরো দেশকে। আজ আর বাংলাদেশ তথা কথিত ‘তলা বিহীন ঝুড়ি নয়। আমাদের প্রধান মন্ত্রীও ঠিকই বলেছেন, ‘দশ বছর আগের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। কথাটা নিরেট সত্য। এ সময়ে আমাদের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। উন্নয়নে, অর্থনীতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, প্রভৃতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। গ্রামগঞ্জে সকল ছোট বড় রাস্তা পাকা। স্বপ্নের মেট্রোরেল হচ্ছে। পদ্মা সেতু হচ্ছে দেশের নিজস্ব অর্থায়নে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় সফলতা।


কোভিড-১৯ সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাটানো রেমিটেন্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে এটা অত্যন্ত আশাবাদের সুসংবাদ। করোনা মহামারী পৃথিবীর সব দেশের অর্থনীতিতে রীতিমত ধস নামিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আজ ১১ই নভেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত করোনা মৃত্যুবরণ করেছে ৬১০৮ জন, মোট সনাক্ত হয়েছে মাত্র ৪২৩, ৬২০ জন, সুস্থ হয়েছে ৩,৪১,৪১৬ জন। অন্যদিকে আজ সারা বিশে^ আট মৃত্যু ১২ লক্ষ ৭০ হাজার ৮০ জন, সনাক্ত ৫ কোটি ১২ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৪৮ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫৩৪ জন। সব দিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেক ভাল। আমরা ভাবছিলাম যে হারে আমেরিকাসহ ইউরোপর দেশে মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে, আমাদের দেশের চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে।
না তা নয়। আল্লাহপাক আমাদের রক্ষা করেছেন এখন পর্যন্ত। বাকী সময় এইভাবে আমাদের হেফাজত করলে জাতি হিসাবে আমরা অর্থনৈতিকভাবে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবো।


অনেক দেশেরই জিডিপির প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় চলে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনা দারুনভাবে আঘাত হেনেছে। রফতানি আয় বেশ কমে গিয়েছিল। রাজস্ব আদায়ের হার কমেছে। মুলধনী যন্ত্রপাতি আমদানী আরও কমেছে। চাকরি হারিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কি পারবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যেতে সৃষ্ট হয়েছিল এমন প্রশ্ন বা সন্দেহের। তা কেটেছে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এবং সরকারের যৌথ পর্যবেক্ষণে। মাথা পিছু জাতি আয়, মানব সম্পদ ও অর্থনেতিক ভঙ্গুরতা তিন সুচকেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। আমরা আশা করতে পারি যদি উন্নতির এই ধারা ঠিক থাকে তাহলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে সক্ষম হবে। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে।


অবকাঠামোখাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। বিন্দুতে দেশ আজ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতেয যাচ্ছে। মাথা পিছু আয় আমাদের এখন দুই হাজার ডলার অতিক্রম করেছে। করোনা সময়েও আমাদের প্রবৃদ্ধি বিগত তিন মাসে বেশ এগিয়েছে। তৈরী পোশাক শিল্প ছাড়াও অন্যান্য খাতে রফতানি বেড়েছে। আমাদের ঔষধ রফতানি হচ্ছে পৃথিবীর ১৬৬ দেশে। প্রবাসী আয় করোনাকালেও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে।


আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতির কিছু কিছু স্বীকৃতিও আমরা পাচ্ছি। লন্ডনভিত্তিক অর্থনেতিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান বিএমআই রিসার্চ ভবিষ্যতে যে ১০টি উদীয়মান বাজারকে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে আছে বাংলাদেশ। তাদের তথ্য অনুযায়ী তৈরি পোশাক শিল্প ও কৃষিভিত্তিক পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ বেশ জোরালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা বøুমবার্গ বলেছে, বাংলাদেশ হতে পারে পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারী ফান্ড বা আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশেও দৃশ্যমান অগ্রগতি বেশ কিছু খাতে দেখা যাচ্ছে।


শুধু অর্থনেতিক অগ্রগতি নয়, জনস্বাস্থ্য, ম্যানটেশন, শিক্ষা, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার, নারীর উন্নয়নসহ সামাজিক নানা সুচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে। ফরে অতি সহজে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হতে যাচ্ছে। সিডিপি ও সরকারের যৌথ প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, আগামী বছর পেব্রয়ারীতে জাতিসংঘে যে পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ তিনটি সুচকেই লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী গত বছরের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনাকালে রাজস্ব আয় প্রথম তিন মাসে দুই হাজার কোটি টাকার বেশী আদায় হয়েছে।


বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অন্যতম ক্রেতা এইচএন্ডএম সুইডেন ভিত্তিক এই কোম্পানী বাঙলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার তৈরি পোশাক ক্রয় করে। বাংলাদেশের মোট রফতানির ১০ শতাংশ এই কোম্পানী ক্রয় করে। এই কোম্পানী করোনাকালে কোন রফতানি আদেশ বাতিল করে নাই।
স্থগিত ক্রয় আদেশের পণ্য নেয়া শুরু করেছে। নতুন ক্রয় আদেশও দিয়েছে। বিগত কয়েক মাসে এই কোম্পানী প্রায় ৫০ কোটি ডলারের ক্রয় আদেশ বাংলাদেশের রফতানি কারকদের দিয়েছে। দেশের প্রায় ৩০০টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান এই কোম্পানীর কাজ করে।


করোনা কালে তুরস্ক ও চীন থেকে অনেক রফতানী আদেশ বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এই সকল রফতানি আদেশ আসার মুল কারণ। তাছাড়া করোনাকালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প চালু থাকায় রফতানি আদেশ পাওয়াতে সাহায্য করেছে। এইটি সরকারের একটি সাহসী উদ্যোগ ছিল যে, করোনাকালে তৈরি পোশাকসহ সকল রফতানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া।


আমাদের সবাইকে স্বীকার করতে হবে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ইতিহাস একটি অন্যান্য ঘটনা। নানা চড়াই উতরাই পাড়ি দিয়ে আজকের এই পর্যায়ে বাংলাদেশে পৌছেছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমাদের প্রত্যাশা, সব কিছু মোকাবেলা করে বাংলাদেশ যথাসময়ে উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নিতে পারবে যদি আরও কিছু বিষয়ে আমাদের শক্ত পদক্ষেপ নেয়া যায় :


১. সুশাসন : আজ দেশে অনেকে বলেন অনেক স্থানে সুশাসন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। নানা কারণে এইটি হতে পারে। উন্নত দেশ হতে হলে সুশাসনের সুচককে আমাদের উন্নতি লাভ করতে হবে। সকলের জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য সুশাসন নিশ্চিতের জন্য আরও বেশী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিচার বিভাগকে আরও বেশী স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সুবিবেচকের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে আরও বেশী নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের আস্থা, বিশ্বাস আরও বেশী হওয়ার জন্য সর্বত্র সুশাসনের প্রয়োজন অনেক বেশী।


২. মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত : দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি অসন্তোষ, অস্থিরতা, অবিশ্বাস যেন জন্ম হয়েছে যে, আমরা আমাদের মতামত, আমাদের ভোটের অধিকারকে যেন যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারছি না। এই অবিশ্বাস থেকে আমাদের বের হতে আসবে হবে। সকল স্তরে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে আরও বেশী উদ্যোগ হতে হবে। এই ক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দল সমূহকে আরও বেশী দায়িত্বশীল ভুমিকা গ্রহণ করে জনগণের স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে।


৩. দুর্নীতিও অনিয়ম : দেশে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্তরের দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার চিত্র বেশ ভালভাবে ফুটে উঠেছে। নানাভাবে দুর্নীতির ফলে ব্যাংক ও আর্থিক খাত বেশ ঝুঁকিতে পড়ে আছে। দুর্নীতি ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য শেয়ার বাজার এখন তলানীতে পৌছে গিয়েছে। উন্নত দেশের পৌছতে হলে এই সকল খাতের মেরামত দ্রুত প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধি সাধারণ নাগরিক, ব্যবসায়ী, আমলা সকলে দুর্নীতিতে যে কোনভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থার জন্য সরকারের সকল ভাল ভাল উদ্যোগ, উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছে। গুটি কয়েক দুর্নীতিবাজ মামলা, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সরকারের সকল মহতি উন্নয়নের গৌরবকে যেন মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে চলেছে। এইভাবে চলতে পারে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ গর্বো হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার। তবেই আসবে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের আসল রূপ। আমাদের এগিয়ে চলার পথ হবে আরও বেশী উজ্জ্বল মসৃণ।

Abul Quasem Haider
আবুল কাসেম হায়দার

সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।

লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments