Home textile

হোম টেক্সাটাইল: নতুন সম্ভাবনা

হোম টেক্সটাইল পণ্যটি একটি বিশেষায়িত খাত। যদিও এইটি আমাদের বস্ত্রখাতের একটি বড় উপখাত। বস্ত্রখাতের প্রধাণত তিনটি উপখাত। প্রথমটি স্পিনিং খাত, দ্বিতীয়টি উইভিং খাত, তৃতীয়টি ডাইং এন্ড ফিনিশিং খাত। হোম টেক্সটাইলের চাহিদা বিশ্বব্যাপী রয়েছে। উন্নতমানের হোম টেক্সটাইল পণ্যের ভোক্তাগণ বেশ বিলাসী, শৌখিন মানুষ দামী এই সব পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। এ কারণে এই পণ্যের মূল বাজার হচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশসমূহ। বিশেষায়িত হওয়ার কারণে সব উদ্যোক্তার পক্ষে এই খাতে বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। ছোট বিনিয়োগকারীর পক্ষে তো মোটেই সম্ভব নয়। এ খাতের ছোট্ট একটি কারখানা করতে হলে কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬ ০০ কোটি টাকা কমে সম্ভব নয়।
কোন হৈ চৈ নাই। ধীরে ধীরে অনেকটা বড় আকার নিয়েছে হোম টেক্সাটাইল। বছরে রপ্তানি হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মত। আমাদের দেশের রপ্তানি খাতের ১০টি শীর্ষ খাতের মধ্যে এই খাত উঠে এসেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের রপ্তানিতে এই খাত এখন তৃতীয় অবস্থানে।
সাড়া বিশ্ব আজ করোনার কারণে দিশেহারা। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির। বাংলাদেশে রপ্তানি খাত এখনও করোনা ধাক্কা কেটে উঠতে পারেনি। কিন্তু আমাদের হোম টেক্সাইটল রপ্তানিতে বেড়েছে ৪১ শতাংশ হারে। দেশের রপ্তানি খাতের সকল পণ্যের মধ্যে এ হার সবচেয়ে বেশী। রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা আছে, তা দূর করা গেলে হোম টেক্সাটাইল দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দেশেও হোম টেক্সটাইল এর বড় আকারের চাহিদা রয়েছে। তা অবশ্য গুণগত মানের দিক দিয়ে কম মূল্যের চাহিদা বেশী। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দেশের অধিকাংশ মানুষের বেশ কম। তাই চাহিদা কম মূল্যের পণ্যের।
আমাদের দেশে বড় রকমের হোম টেক্সটাইল কারখানার সংখ্যা খুবই কম। অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, নোমান গ্রæপ ,জাবের অ্যান্ড জোবায়ের, সাদ গ্রæপ, আলটেক্স, এসিএস টেক্সটাইল, জে কে গ্রæপ, ক্লাসিকেল হোম, ইউনি লাইন ইত্যাদি।
আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদার শতভাগ স্থানীয়ভাবে জোগান দেওয়া সম্ভব। সরকারের নীতি সহযোগীতার প্রয়োজন রয়েছে। তা ছাড়া আমাদের দেশের হোম টেক্সটাইল উদ্যোক্তাগণ আন্তর্জাতিক বাজারে ট্রেড বা ফ্যাশন প্রবাহ না বোঝা কিংবা কম বোঝাকে আমাদের রপ্তানি ক্ষেত্রে একটি বাধা। এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে বাজার সম্পর্কে গবেষণা প্রয়োজন অনেক বেশী। আমাদের দেশে সরকারি বা বেসরকারি কোন সংস্থার বাজার গবেষণার কোন প্রতিষ্ঠান নাই।
হোম টেক্সটাইল লি: হোম টেক্সটাইল বলতে আমি বুঝি ঘরের ভিতর প্রয়োজনীয় অথবা শোভা বর্ধনের জন্য ব্যবহৃত বস্ত্র পণ্য সমূহ। ঘরের ভিতরে ব্যবহৃত হয় বলে একে হোম টেক্সটাইল যে হোম টেক বা ঘরোয়া টেক্সটাইল বলা হয়ে থাকে। বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কভার, টেবিল ক্লথ, পর্দা, ফ্লোর ম্যাট, কার্পেট, ঝিকজাক গালিচা, ফার্ণিচারের ব্যবহার করা কাপড়, তোষক, পাপোস, খাবার টেবিলের রানার, কৃত্রিম ফুল, নকশিকাঁথা, খেলনা, কম্বলের বিকল্প কমফোটার, বাথরুম টাওয়েল, রান্নাঘর এবং গৃহসজ্জায় ব্যবহার হয় এমন সব ধরনের পণ্য এইখাতের অন্তর্ভুক্ত। এই শিল্পের প্রধান কাঁচামাল তুলা, পাট, শন, রেশম, ভেড়াও ছাগলের পশম এবং অন্যান্য পশম। এছাড়া বর্তমানে কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহারের ও হোম টেক্সটাইল উৎপাদিত হচ্ছে আমাদের দেশে।

কোভিড-১৯ কালিন রপ্তানি বেশীঃ সাড়া বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ কারণে সকল প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত। আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প বিগত কয়েক মাস ধরে করোনার কারণে নানা সমস্যা মোকাবেলা করে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারও এই ক্ষেত্রে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে বেশী আশার আলো দেখিয়েছে হোম টেক্সটাইল। এই খাতে রপ্তানি গত অর্থ বছরের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। মোট রপ্তানি হয়েছে ২৫ কোটি ডলারের পণ্য। চলতি অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি ডলার। গত অর্থ বছরে এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৭৬ কোটি ডলার। আমাদের দেশ থেকে হোম টেক্সটাইল সব সময় রপ্তানি হয়। তৈরি পোশাক শিল্পের মত সিজনাল রপ্তানি এই খাতে হয় না। ইউরোপে চার মৌসুমে রপ্তানি হয় বেশী। এবার এখানে তাতেও বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা কালিন মানুষ গৃহে বেশী সময় থাকছে। হোম টেক্সটাইল ব্যবহার ও তাই বেশী হচ্ছে। এই জন্য চাহিদা ও বেড়েছে। রপ্তানি ও বেড়েছে।

আমাদের আভ্যন্তরীন বাজারঃ
রপ্তানি বাজারে হোম টেক্সটাইল পণ্যের চাহিদার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশেও এর চাহিদা বাড়ছে। মানুষের মাথা পিছু আয় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশের বৃহৎ মধ্যবিত্ত শ্রেণী হোম টেক্সটাইলের বড় গ্রাহক। বাংলাদেশে বিগত কয়েক দশক ধরে আবাসন ব্যবসার বেশ প্রসার ঘটছে। আবাসন ব্যবসার সম্প্রসাণের ফলে হোম টেক্সটাইল পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল সহ সকল শহরে আবাসন ব্যবসার প্রহার ঘটেছে। ফ্ল্যাট নির্মাণের ফলে এর ব্যবহারও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি ফ্ল্যাটে দরজা জানালা পর্দা, একাধিক বিছানার চাদর, কিচেন আইটেম, ডাইনিং আইটেম সহ বিভিন্ন রকমের হোম টেক্সটাইল পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়েছে। এর ফলে দেশে আভ্যন্তরীণ বাজার বেশ বড় আকার ধারণ করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে স্থানীয় হোম টেক্সটাইল বাজার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার অধিক। বর্তমানে ঢাকা সহ সারা দেশে কয়েক লক্ষ ইউনিটের মতো ফ্ল্যাট অবিক্রিত রয়েছে। দেড় হাজার বর্গফঅুটের একটি ফ্ল্যাটে ২ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার হোম টেক্সটাইল প্রয়োজন হয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা, চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকায় এক একটি ফ্ল্যাটে ৫ লক্ষের অধিক হোম টেক্সটাইল পণ্যের ব্যবহার হয়। দেশে আবাসন ব্যবসার প্রসার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে হোম টেক্সটাইলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদাও বাড়ছে। বর্তমানে স্থানীয় ভাবে তৈরি হোম টেক্সটাইল ছাড়াও চায়না ভারত, থাইল্যান্ড, পাকিস্তানের হোম টেক্সটাইল পণ্য প্রচুর ব্যবহার হয়। সরকারি নীতি সহযোগীতা আমদানি হ্রাস পেয়ে স্থানীয় হোম টেক্সটাইল ব্যবহার কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

আন্তর্জাতিক বাজারঃ
বিশ্বের হোম টেক্সটাইলের প্রধান বাজার আমেরিকা ও ইউরোপের দেশ সমূহ। পৃথিবীর উৎপাদিত হোম টেক্সটাইল পণ্যের ৬০ শতাংশ এই দুই বাজারের দেশ সমূহে। বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ হোম টেক্সটাইল পণ্য বিক্রি হয় আমেরিকা ও ইউরোপের দেশ সমূহে। বিশ্বখ্যাত ক্যারফোর, ওয়ালমার্ট, আইকিয়া, আলদি এইচএন্ডএস, মরিস পিলিপস, হ্যাসা প্রভৃতি বড় ব্র্যান্ড এখন বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইলের বড় ক্রেতা। এছাড়াও ছোট ছোট বহু ক্রেতা এখন বাংলাদেশের আমদানিকারক।
রপ্তানি খাতের অন্যান্য পণ্যের মতো যুক্তরাষ্ট্র বাদে সব বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইল শিল্পখাত। বাজার গবেষণা ও অ্যাডভাইজারি ফার্ম মরতর ইন্টোলিজেন্সের সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশী মুনাফা হয় হোম টেক্সটাইল ব্যবসায়। বর্তমানে বিশ্ববাজার হোম টেক্সটাইলের প্রায় ১৩১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সাল নাগাদ এই বাজার বৃদ্ধি পেয়ে ১৮০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জন্য আমাদের দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের নতুন করে এই খাতেও বেশী বিনিয়োগের চিন্তা করতে হবে।

যেসব বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবেঃ
১. হোম টেক্সটাইলের প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে তুলা। যা আমাদের দেশে হয় না বললে চলে সম্পূর্ণ তুলা আমদানি করে সূতা উৎপাদন করতে হয়। প্রতি বছর তুলার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরবরাহ সমস্যা বাড়ছে। দেশে যে তুলা উৎপাদন হয় তা দিয়ে স্থানীয় মানুষের লেফ বালিশের চাহিদাও পূরণ হয়। যদি তুলা উন্নয়ন বোর্ড নানাভাবে চেষ্টা করছে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য। কিন্তু আবহাওয়া, মাটি ও পরিবেশের জন্য আমাদের দেশে তুলা উৎপাদন ভাল হবে না। তাই আমদানি আমাদের একমাত্র ভরসা। আমাদের আমদানি ব্যয় কমাতে হবে। তুলা আমদানি খরচ সরকারকে আরও কমিয়ে আনতে হবে। তা হলে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
২. তুলার পর হোম টেক্সটাইলের অন্যতম কাঁচামাল হচ্ছে ডাইস ক্যামিকেল। এইটিও সম্পূর্ণ রূপে আমদানি করতে হয়। এর খরচ কমানোর জন্য আরও সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে কিছু বন্ডেড ওয়ার হাউজ সম্পন্ন কোম্পানী অসাধু ব্যবসা করে ডাইস ক্যামিকেল আমদানি করে বাজারে বিক্রি করে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে দিনে দিনে ধনী হচ্ছে। সরকার এই ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে। এই সকল অন্যায়কারী ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা দেশের স্বার্থে প্রয়োজন।
আমাদের প্রতিযোগী দেশ সমূহে তুলা ও ডাইস ক্যামিকেল নিজস্ব। তাই তাদের উৎপাদন খরচ কম। রপ্তানিতে এই সকল দেশ আমাদের চেয়ে বেশ সুবিধা পাচ্ছে। ডাইস ক্যামিকেলের মৌলিক শিল্প স্থাপনের জন্য শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই ক্ষেত্রে লাভও বেশী হবে। তখন আমাদের লিড টাইম কমে আসবে। হোম টেক্সাটাইল রপ্তানিতে বেশ সুবিধা হবে।
৩. তৃতীয় যে বিষয়টি এই খাতের জন্য জরুরি তা হচ্ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ স্বল্প মূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করা। কিন্তু আমাদের দেশে দফায় দফায় গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হোম টেক্সটাইল সহ বস্ত্রখাতের সকল উপশাখা ঝুঁকির সম্মুখীন। স্পিনিং,উইভিং ও ডাইং ফিনিশিং শিল্পকারখানায় প্রতি বছর কয়েকবার করে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি বন্ধ করা দরকার। দীর্ঘ মেয়াদী সুবিধা না দিলে তৈরি শিল্প গড়ে উঠে না। রাস্তা, ব্রিজ, বন্দর সুবিধা আমাদের এখনও পর্যাপ্ত না। একমাত্র চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের চাহিদা সময়মত পূরণ করতে পারছে না। অন্যদিকে বন্দর খরচ, দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে পণ্য উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কনটেইনার চার্জ সহ নানা শিপিং চার্জ দ্রæত কম পক্ষে অর্ধেক হ্রাস করা প্রয়োজন। শুল্কমুক্ত আমদানী হলেও অন্যান্য নানা চার্জে এই খাতের শিল্প উদ্যোক্তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়।
৪. অনেক দিন পর ব্যাংকের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে সরকার। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে অধিক হারে ব্যাংক ঋণের সুদ দিয়ে শিল্প উদ্যোক্তাগণ দিশেহারা। এই খাতের উন্নয়নের জন্য এই সরকারকে বস্ত্রখাতের ব্যাংক সুদের হার ‘লিক’ বেটে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সারা বিশ্বে উন্নত দেশ সমূহে ব্যাংকের সুদের হার ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশের বেশী নয়। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো শোষকের ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংককে শোষকের ভূমিকা থেকে সেবামূলক খাতে ফিরে আসতে হবে। বাস্তবে ঘোষিত সেবাখত হলেও ব্যাংক সমূহ সেই দায়িত্ব পালনে এখনও সমর্থ হয় নাই। মন ও মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। ঋণ খেলাপীর চর্চা থেকে বেরিয়ে শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ ফেরত দেয়ার স্বচ্ছ মানসিকতায় ফিরে আসতে হবে।
৫. এখানের উন্নয়নের জন্য জাতীয় ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা দরকার। অন্যদিকে ফ্যাশন ও ডিজাইনের জন্য একটি বৃহৎ আকারে ইন্সটিটিউট সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা জরুরি। সারা বিশ্বে বিশেষ করে উন্নত দেশে এই বিষয়ে বেশ কাজ হচ্ছে। আমাদেরকে আরও বেশী সজাগ হতে হবে।
৬. নতুন করে বড় বিনিয়োগের জন্য আমাদের দেশের শিল্প বিনিয়োগকারী হোম টেক্সাটাইল খাতকে পছন্দ করতে পারেন। যাদের বড় পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষমতা রয়েছে, তারা এই খাতে আসা উচিত। আয় বেশী। বিপণন ব্যবস্থা সহজ। বিশ্ব বাজারে নিয়মিত চাহিদা রয়েছে।
দ্বিতীয়ত সরকার একটি বিশেষ রপ্তানি জোনকে শুধুমাত্র হোম টেক্সটাইলের জন্য নির্ধারণ করে দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহবান করতে পারেন। তাতে চীনসহ অনেক দেশের শিল্প বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিশেষ সুবিধার জন্য এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করবে। এই জন্য প্রচার এখন থেকে সরকারি উদ্যোগে শুরু করতে হবে। এই জন্য একটি বিশেষত টীম চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া সফর করা জরুরি। সরাসরি বিনিয়োগকারীদের আহবানের জন্য সরাসরি বৈঠক প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের বিদেশী মিশনগুলোকে বিশেষ কর্ম পরিকল্পনা শুধুমাত্র হোম টেক্সটাইলের জন্য দেয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণারয়ে এখন নৈতিক ও জাতীয় দায়িত্ব। হয়তো এমন একদিন আসবে, আমরা হবো হোম টেক্সটাইলে বিশ্বের সব চেয়ে বেশী রপ্তানিকারক দেশ। সেই সুদিনের অপেক্ষায় রইলাম।

Abul Quasem Haider
আবুল কাসেম হায়দার

সাবেক সহ সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি, প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি:, অষ্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আজীবন সদস্য : এশিয়াটিক সোসাইটী বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী, চট্টগ্রাম সমিতি, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা ।

লেখক দৈনিক আজকের আওয়াজ ও সাপ্তাহিক প্যানোরামা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Numan Azmi
Numan Azmi
3 years ago

Assalamualaikum Haider bhai. I am utterly impressed and lost for words with the variety and quality of your writing ma shaa allah !! As one of your former students, it gives me immense pride to see what Allah has helped you to achieve alhamdulillah. I pray that allah increses your ability, gives you long and heralthy life, enbales you to serve our beloved country and its people with efficiency and effectivenss and fills your life with His divine love and rahmah, ameen.

Last edited 3 years ago by Numan Azmi